বাঁ-হাত দিয়ে খাওয়ার জন্য ছোটবেলায় মা-বাবার বকাঝকা শুনতে হয়েছে। স্কুল-কলেজে বন্ধুবান্ধবদের কৌতূহলীনজর গিয়েছে। এমন নানা বিড়ম্বনায়পড়তে হয় বাঁ-হাতিদের। অথচ দেখুন, বাঁ-হাতিদের জন্য বছরের গোটা একটা দিনই বরাদ্দ। ১৩ অগস্ট ‘আন্তর্জাতিক বাঁ-হাতি দিবস’। সে কথা মনে রেখেই বিখ্যাত বাঁ-হাতিদের দিকে এ বার নজর ঘোরানো যাক।
সচিন তেন্ডুলকরের ভারী ব্যাটের ঘায়ে চার-ছয় রানগুলি আসলে এক বাঁ-হাতির খেল্। বুঝলেন না? গোটা কেরিয়ারে ডান হাতে ব্যাট করলেও সচিন আসলে বাঁ-হাতি। অটোগ্রাফ দেওয়া থেকে শুরু করে খাওয়াদাওয়া করা, প্রায় সব কাজই বাঁ-হাতে করেন সচিন।
খুবই কম ফিল্ম পরিচালনা করেন। তবে যখন ডিরেক্টরের চেয়ারে বসেন, তখন প্রায় প্রতিটি ফিল্মই সুপার-ডুপার হিট। বাঁ-হাতে এমনটাই ম্যাজিক দেখান কর্ণ জোহর। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’, একের পর এক হিট দিয়েছেন কর্ণ।
বলিউডে বচ্চন পরিবারের সিনিয়র-জুনিয়র, দুই বচ্চনই বাঁ-হাতি। অমিতাভ এবং অভিষেক, দু’জনেই রাইট ডিসিশন নিতে তাঁদের লেফ্ট হ্যান্ড ব্যবহার করেন।
প্রথম ফিল্মে সম্মতি দেওয়ার সময় বলিউডের বেবি ডল সানি লিওনের কোন হাতে পেন ছিল জানেন? বাঁ-হাতে। এই তালিকায় তাই জায়গা করে নিয়েছেন, করণজিৎ কউর থুড়ি সানি লিওন।
বড় পর্দায় ডান বা বাঁ-হাতে সমান দক্ষ হলেও, দক্ষিণী ফিল্মের সুপারস্টার রজনীকান্ত আসলে বাঁ-হাতি। বাস কন্ডাকটর থেকে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে তো বটেই, রজনী জায়গা করে নিয়েছেন আম জনতার তৈরি অবিশ্বাস্য গল্পগাথাতেও।
দেশের স্বাধীনতায় মহাত্মা গাঁধীর অবদানের কথা তো অনেকেই জানেন। তবে জানেন কি, জাতির জনকও বাঁ-হাতি ছিলেন?
লর্ডসের মাঠে প্রথম টেস্টেই শতরান। তার পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যাট থেকে বেরিয়েছে বহু রেকর্ড। সবই দেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক সৌরভের বাঁ-হাতের কামাল।