গৌরী লঙ্কেশ। ফাইল চিত্র।
সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ খুনে এ বার নাম জড়াল ‘সনাতন সংস্থা’ নামে গেরুয়া শিবিরের এক সংগঠনের। সংস্থার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ জন লঙ্কেশ খুনে জড়িত বলে মনে করছে কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। তাদের মধ্যে চার জনকে খুঁজছে ইন্টারপোল। অভিযোগ, ওই চার জন ২০০৯ সালে গোয়ার মারগাঁও বিস্ফোরণের সঙ্গেও জড়িত।
আরও পড়ুন: চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সংগঠনের কর্তার মেয়ের দ্বিখণ্ডিত দেহ উদ্ধার
বেঙ্গালুরুর সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে নিজের বাড়ির সামনেই খুন হন। বাইকে চড়ে আসা আততায়ীরা তাঁকে গুলি করে খুন করে। গৌরী লঙ্কেশের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধরাও পড়েছিল। মুখ ঢাকা এক আততায়ী হেলমেট পরে এসেছিল, দেখা গিয়েছিল সিসিটিভি ফুটেজে। খুনের তদন্ত করতে ২১ সদস্যের বিশেষ টিম গড়েছিল কর্নাটক সরকার। গত মঙ্গলবার কর্নাটক সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, গৌরী লঙ্গেশ খুনিদের চিহ্নিত করে ফেলেছেন তদন্তকারীরা। তবে তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা ব্যাহত হতে পারে বলে অভিযুক্তদের নাম সামনে আনতে চাননি তদন্তকারী অফিসারেরা।
আরও পড়ুন: অরুণাচল যেন বিমান আর কপ্টারের মৃত্যুফাঁদ
পরে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় সন্দেহভাজন যে পাঁচ জনের নাম উঠে এসেছে তারা হল, কোলাপুরের বাসিন্দা প্রবীণ লিমকার (৩৪), ম্যাঙ্গালোরের জয়প্রকাশ ওরফে অণ্ণা (৪৫), পুণের বাসিন্দা সারাং আকোলকার (৩৮), সাঙ্গলির রুদ্র পাতিল (৩৭) এবং সাতারার বাসিন্দা বিনয় পওয়ার।
সিবিআই তদন্তে এর আগে অন্য মামলাতেও উঠে এসেছিল রুদ্র পাতিল, সারাং আকোলকার এবং বিনয় পওয়ারের নাম। ২০১৩ সালের ২০ অগস্ট, মহারাষ্ট্রের যুক্তিবাদী নেতা নরেন্দ্র দাভোলকর খুনে ওই তিন জন জড়িত বলে দাবি করে সিবিআই। দাভোলকরের মতোই মহারাষ্ট্রের আর এক যুক্তিবাদী ও বামপন্থী নেতা গোবিন্দ পানসারে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে খুন হন। অগস্টে খুন হন কর্নাটকের যুক্তিবাদী লেখক এম এম কালবুর্গী। মহারাষ্ট্র সিট সূত্রে খবর, পানসারে এবং কালবুর্গী খুনেও ওই তিন জনের যোগসূত্র রয়েছে।