দিল্লিতে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক পাঁচ জন। — প্রতীকী চিত্র।
বাংলাদেশি সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক করল দিল্লি পুলিশ। তাঁরা লালকেল্লায় প্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সময়েই ওই পাঁচ জনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই পাঁচ জনই বাংলাদেশি নাগরিক এবং তাঁরা অবৈধ ভাবে এ দেশে বাস করতেন। ধৃতদের থেকে বাংলাদেশি নথিপত্রও পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি দিল্লি পুলিশের।
দিল্লি পুলিশের দাবি, ধৃতেরা দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। এখনও পর্যন্ত তাঁদের থেকে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। তবে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বস্তুত, স্বাধীনতা দিবসের আগে লালকেল্লা চত্বরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত প্রস্তুতির জন্য গত ১৫ জুলাই থেকে লালকেল্লায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, এরই মধ্যে সোমবার পাঁচ জন লাল কেল্লায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাঁদের কাছে প্রবেশের অনুমতিপত্র (এন্ট্রি পাস) দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু ধৃতেরা কেউ-ই তা দেখাতে পারেননি।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) রাজা বান্থিয়া জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় উঠে আসে ধৃতেরা প্রত্যেকেই তিন-চার মাস আগে অবৈধ ভাবে ভারতে আসেন। তার পর থেকে দিল্লিতে শ্রমিক হিসাবে কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, “ধৃতদের দাবি লালকেল্লা যে ১৫ জুলাই থেকে সাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে, তা তাঁরা জানতেন না। তাঁদের থেকে বাংলাদেশি নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে, তবে জিজ্ঞাসাবাদে এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু মেলেনি।”
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করা শুরু হয়েছে। দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক মাস আগে থেকেই সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। অনেক সন্দেহভাজন বাংলাদেশিও ধরা পড়েছেন। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের কিছু ভূমিকায় প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদেরও বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। বিতর্ক দানা বেঁধেছে নয়াদিল্লির লোদী কলোনি থানা থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বঙ্গভবনের অফিসার-ইন-চার্জকে পাঠানো একটি চিঠিকে কেন্দ্র করেও। অভিযোগ, ওই চিঠিতে বাংলা ভাষাকে বাংলাদেশি ভাষা বলে অভিহিত করেছে দিল্লি পুলিশ।