প্রতীকী ছবি।
অঙ্গদান করতে হবে, দেবী দুর্গা নাকি এমনই স্বপ্নাদেশ দিয়েছিল তাকে। আর সেই স্বপ্নাদেশ পালন করতে নিজের চোখ উপড়ে ফেলল বিহারের এক কিশোরী।
শনিবার ঘটনাটি ঘটে বিহারের দ্বারভাঙা জেলার বাহেরি ব্লকের সিরুয়া গ্রামে।
ছোটবেলা থেকেই দেবী দুর্গার ভক্ত কোমল কুমারী। প্রতি দিন সকালে তাকে দেবীমন্ত্র জোরে জোরে উচ্চারণ করে পড়তে শোনা যেত। শুধু তাই নয়, বন্ধুদের কাছে মাঝেমধ্যেই নাকি তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, দেবী দুর্গা তার স্বপ্নাদেশ দিয়েছে অঙ্গদানের জন্য!
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে ২৪ ঘণ্টায় হাফ ডজন এনকাউন্টার!
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে চম্পট, হিজবুলে যোগ হুরিয়ত চেয়ারম্যানের ছেলের
কোমলের পড়শি এবং বন্ধুরা অন্তত তেমনটাই পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। কোমলের এই কথায় কেউই খুব একটা পাত্তা দেয়নি। কিন্তু সেই মেয়ে যে সত্যি সত্যিই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসবে তা যেন বিশ্বাসই করে উঠতে পারছে না তার পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী এবং বন্ধুরা।
ঠিক কী হয়েছিল?
শনিবার নবরাত্রির সপ্তম দিন উপলক্ষে গ্রামেরই একটি মন্দিরে ধুমধাম করে পুজো হচ্ছিল। সেখানে হাজির হয়েছিল কোমলও। মন্দিরে তখন ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা। প্রার্থনা চলাকালীন হঠাত্ই একটা চিত্কারের আওয়াজ শুনে সকলে চমকে ওঠেন। সেই ভিড়ের মধ্যেই দেখা যায় এক কিশোরীর বাঁ চোখ দিয়ে গল গল করে রক্ত বেরোচ্ছে। ওই অবস্থায় সে দুর্গার বিগ্রহের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তখন সবাই মিলে তাকে আটকায়। কোমলকে উদ্ধার করে প্রথমে বাহেরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিত্সকরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে দ্বারভাঙা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেন। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, কোমলের বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
চোখ উপড়ে ফেলতে ওই কিশোরী নিজের আঙুল ব্যবহার করেছে, নাকি কোনও ধারাল অস্ত্রের সাহায্য নিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসা করেও এর সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলে দাবি পুলিশের।