(বাঁ দিকে) সোনম রঘুবংশী এবং রাজ সিংহ কুশওয়াহা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় হত্যাকাণ্ডে ধৃত রাজ সিংহ কুশওয়াহার ঠাকুরমা রামলালির। পরিবারের দাবি, ৭৪ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধা রাজের গ্রেফতারি মেনে নিতে পারছিলেন না। খাওয়া দাওয়াও প্রায় বন্ধই করে দিয়েছিলেন। বার বার বলতেন, রাজ খুন করতেই পারে না। পরিবারের বক্তব্য, রাজের গ্রেফতারির ধাক্কা সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যু হয়েছে রামলালির।
উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর জেলার গাজ়িপুরে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন রামলালি। তাঁর স্বামী দরবারি সিংহ জানান, হত্যাকাণ্ডে অন্যতম চক্রী হিসাবে রাজের নাম উঠে আসার পর থেকে ভেঙে পড়েছিলেন বৃদ্ধা। বার বার সকলকে বোঝাতে চাইছিলেন, রাজ এমন কিছু করতেই পারেন না। রাজকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেই মনে করছিলেন বৃদ্ধা।
এক সপ্তাহ আগেই সংবাদমাধ্যমকে রামলালি বলেছিলেন, “রাজের কারও সঙ্গে কোনও প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। সোনমই তাঁর স্বামীকে খুন করিয়েছেন এবং এখন রাজকে এর মধ্যে জড়াচ্ছেন।” এই ঘটনার সঙ্গে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন বলেও সন্দেহ করছিলেন বৃদ্ধা।
মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে রাজা রঘুবংশীর হত্যার তদন্তে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজার স্ত্রী সোনম রঘুবংশী এবং রাজের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছিল, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
সংবাদমাধ্যম ‘টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’র সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুসারে, হত্যাকাণ্ডে সোনমই মূলচক্রী বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। রাজকে তিনি শুধুমাত্র ব্যবহার করেছিলেন নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য। সূত্রের দাবি, নিজের ‘বড়’ লক্ষ্য পূরণ করতে রাজকে ঘুঁটি হিসাবে ব্যবহার করছিলেন সোনম। অন্য কারও সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সোনমের এই পরিকল্পনার কথা টেরও পাননি রাজ। যদিও তদন্তকারী দলের তরফে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি।