GST in Insurance

চিঠি লিখেছিলেন মমতা, কিন্তু বিমায় কর প্রত্যাহার নিয়ে এ বারও সিদ্ধান্ত হল না জিএসটি কাউন্সিলে

বর্তমান কর কাঠামোয় জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। তৃণমূল-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য, জীবন এবং স্বাস্থ্যবিমায় ১৮ শতাংশ জিএসটি এক দিকে যেমন বিমাক্ষেত্রকে সঙ্কুচিত করছে, তেমনই প্রবীণ নাগরিকদের সমস্যার মুখে ফেলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৪২
Share:

(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্মলা সীতারামন (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।

গত অগস্ট মাসের গোড়াতেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি লিখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি জানিয়েছিলেন, জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমা থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। তার সাড়ে চার মাস পরে শনিবার নির্মলার উপস্থিতিতেই ফের জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হল। কিন্তু বিমা থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হল না।

Advertisement

জিএসটি কাউন্সিলের তরফে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া তাদের মতামত জানায়নি। ফলে সেই মতামত ছাড়া কাউন্সিল বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না।

মমতার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতীন গডকড়িও নির্মলাকে একই দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। মমতা লিখেছিলেন, ‘‘নতুন কর কাঠামোর অন্তর্গত আয়কর আইনের ৮০সি এবং ৮০ডি ধারা অনুযায়ী জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। এই ব্যবস্থা জনবিরোধী।’’

Advertisement

তৃণমূল-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য, জীবন এবং স্বাস্থ্যবিমায় ১৮ শতাংশ জিএসটি এক দিকে যেমন বিমাক্ষেত্রকে সঙ্কুচিত করছে, তেমনই প্রবীণ নাগরিকদের সমস্যার মুখে ফেলছে। তাঁদের ব্যাখ্যা জীবন এবং স্বাস্থ্যবিমা— দু’টি ক্ষেত্রই স্পর্শকাতর। এ দু’টির ক্ষেত্রে কর কাঠামো পুনর্গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। বিজেপিরও একাধিক মন্ত্রী মনে করেন বিমা থেকে জিএসটি তুলে নেওয়া হোক। কারও কারও এ-ও বক্তব্য, পুরোপুরি প্রত্যাহার না করা হলেও যেন ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশের মধ্যে তা রাখা হয়। কিন্তু ২০২৪-এ সেই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারল না জিএসটি কাউন্সিল। আগামী বাজেটে এ প্রসঙ্গে কোনও দিশা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দিতে পারেন কি না, সে দিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিক এবং বাণিজ্য মহলের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement