— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সমাজমাধ্যমে দাদুর মৃত্যু নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন তরুণ। সেই পোস্টে আর এক জন হাসির প্রতিক্রিয়া দেন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে শুরু হয় বচসা, হাতাহাতি। যার জেরে প্রাণ দিতে হল পোস্টদাতাকে। সম্প্রতি গুজরাতের রাজকোটে ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত তরুণের নাম প্রিন্স কুমার (২০)। বিহারের বাসিন্দা প্রিন্স কাজ করতেন গুজরাতের এক কারখানায়। চার মাস আগে তাঁর দাদু রূপনারায়ণ ভিন্দের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি দাদুর স্মৃতিতে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন প্রিন্স। তাতে একটি হাসির ইমোজি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান তাঁরই বন্ধু বিপিন কুমার রাজেন্দ্র। সেই থেকেই বচসার শুরু।
জানা গিয়েছে, ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে প্রথমে ফোনে ঝগড়া শুরু হয় দু’জনের। পরে তাঁরা দেখা করেন। সেখানে শুরু হয় আর একপ্রস্ত বাদানুবাদ। সেই বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। এর পরেই প্রিন্সকে খুনের পরিকল্পনা করেন অভিযুক্ত বিপিন। গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রিন্স তাঁর কারখানার বাইরে একা বসেছিলেন। সে সময় বিপিন ও তাঁর এক সহযোগী তাঁর উপর চড়াও হন। দু’জনে মিলে ধারালো ছুরি নিয়ে তরুণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রিন্সের চিৎকার শুনে তাঁর সহকর্মীরা ছুটে এলে চম্পট দেন দু’জনেই। কিন্তু তত ক্ষণে গুরুতর জখম হয়েছেন তরুণ। উদ্ধার করে রাজকোট সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চার দিন পর তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করানো হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার মৃত্যু হয় প্রিন্সের। এই ঘটনার পরেই তৎপর হয়েছে পুলিশ। দায়ের হয়েছে খুনের মামলা। মূল অভিযুক্ত বিপিনকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর সহযোগীরও খোঁজ চলছে।