প্রতীকী ছবি।
সরকারি হাসপাতালে ডিউটিতে রয়েছেন। তাঁর হাতে বহু রোগীর প্রাণ। সেই চিকিৎসকই কিনা মদ্যপ! আর প্রাণ দিয়ে তার মাশুল গুনল এক প্রসূতি ও তাঁর সদ্যোজাত কন্যাসন্তান। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে গুজরাতের বোতাড় জেলা হাসপাতালে। মত্ত অবস্থায় ডেলিভারি করাতে গিয়েই এত বড় ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের। অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চিকিৎসকের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসব যন্ত্রণা ওঠার পর কামিনিবেন চঞ্চিয়াকে (২২) বোতাড় জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন পি ডে লাখানি। প্রসবের সময়ই মারা যান কামিনবেন। কিছুক্ষণ পর মৃত্যু হয় সদ্যোজাত শিশুকন্যাটিরও।
পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানায় চিকিৎসক লাখানির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের বক্তব্য, রোগীকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁরা, তখন চিকিৎসক লাখানি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ওই অবস্থাতেই তাঁদের রোগীর প্রসব করাতে গিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়। গাফিলতির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ চিকিৎসককে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: মাগুর মাছের খাবারের তৈরির আড়ালে ভাগাড়ের মাংস পাচার!
বোতাড়ের পুলিশ সুপার হর্ষদ মেটা বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে মৃতার পরিবারের অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ মিলেছে। অর্থাৎ চিকিৎসক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই কর্তব্যে গাফিলতি-সহ অন্যান্য ধারা মামলায় যুক্ত হবে।’’
আরও পড়ুন: ইলেকট্রিক শক, যৌনাঙ্গে যন্ত্র ঢুকিয়ে অত্যাচার, কান্নায় ভেঙে পড়লেন মিহিরগুল
অভিযুক্ত চিকিৎসক গ্রেড-টু অফিসার। সেই কারণেই গোটা ঘটনা জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদেরও জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)