হাফলঙের বোটানিক্যাল গার্ডেন। বিপ্লব দেবের তোলা ছবি।
অরণ্যে ভরপুর ডিমাহাসাও জেলা। রয়েছে দুর্লভ অর্কিড-সহ নানা গাছ, ফুল, মূল্যবান ওষধি। এই সব অর্কিড, গাছ, ফুল খুঁজে বের করে হাফলঙের বোটানিক্যাল গার্ডেনগুলিকে নতুন করে সাজিয়ে তুলছে বন ও পরিবেশ দফতর।
বন দফতরের স্থানীয় রেঞ্জার পিটার সুমের বলেন: হাফলংকে সৌন্দর্যের রানি বলা হয়। এর সৌন্দর্য ধরে রাখার দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিক, প্রত্যেকটি বিভাগের। তাই তাঁরা হাফলঙের বোটানিক্যাল গার্ডেনগুলিকে সাজিয়ে তোলার কাজে হাত দিয়েছেন। নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলার বন বিভাগের অতিরিক্ত প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর বিকাশ ব্রহ্ম। মূল লক্ষ্য অবশ্যই পর্যটকদের আকৃষ্ট করা।
হাফলঙে তিনটি বোটানিক্যাল গার্ডেন রয়েছে। সরকারি হাসপাতাল, স্বশাসিত পরিষদ ও রক গার্ডেন। রেঞ্জার পিটারই তার দেখভাল করেন। তাঁর কথায়, ‘‘বাগান করার শখ প্রায় প্রত্যেকেরই থাকে। প্রকৃতিকে ভালবাসে না, এমন কেউ পৃথিবীতে নেই।’’ শুধু চাকরি নয়, বাগানের শখ বা প্রকৃতিপ্রেম— যাই হোক না কেন, ওই টানেই বাগানে শ্রমিকদের সঙ্গে হাতে হাতে লাগিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন পিটার। তিনি বলেন, ‘‘বোটানিক্যাল গার্ডেনে নয়ানা জাতের মুল্যবান অর্কিড রয়েছে। এ ছাড়া আছে উন্নতমানের শাল, সেগুন, নিম, গামাই গাছ। রয়েছে মরশুমি ফুল। সেগুলি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে কাজ করছেন তাঁরা। উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদের মুখ্য কার্যালয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে হাফলং বোটানিক্যাল গার্ডেন। টিলাভূমিতে বিভিন্ন অর্কিড-সহ ফুলের গাছ। অর্কিডের কারণেই পর্যটকদের হাফলঙের প্রতি আকর্ষণ। দেশ-বিদেশের অর্কিড-প্রেমীদের ভিড় এখানে লেগেই থাকে। পিটারের আশা, বোটানিক্যাল গার্ডেনগুলি ঠিকঠাক সাজিয়ে তোলা গেলে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে। বাড়বে জেলার রাজস্ব। বাড়বে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধেও।