হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রা। ফাইল চিত্র।
জামিন দিলে তিনি তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করতে পারেন। এই আশঙ্কা এবং সংশয় প্রকাশ করে ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রাকে জামিন দিল না হরিয়ানার হিসারের আদালত। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গত মে মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন জ্যোতি। তার পর থেকেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি। শনিবার হরিয়ানার আদালতে জ্যোতির মামলা উঠলে, বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, দেশবাসী এবং দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থ যেখানে জড়িয়ে, এই অবস্থায় জামিন দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তি তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন। যেখানে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িয়ে সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জামিনের ব্যাপারে আদালতের সতর্ক হওয়া উচিত বলেও পর্যবেক্ষণ আদালতের। আর তার পরই জ্যোতির জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত।
পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির প্রমাণ মিলেছে জ্যোতির বিরুদ্ধে। তাঁকে কাজে লাগিয়ে তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন পাক এজেন্টরা। ধৃত জ্যোতি সম্পর্কে এমনই তথ্য দিয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। শুধু তা-ই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে ২৫০০ পাতার চার্জশিট পেশ করে তারা। হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর, সিট দাবি করেছে, জ্যোতিকে ‘টুল কিট’ হিসাবে ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। তদন্তকারী দলের আরও দাবি, পাকিস্তান ভ্রমণের সময় এজেন্টদের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ ছিল। তাঁর ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্য কিন্তু সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। জ্যোতিও পাক এজেন্টদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন বলেও দাবি তদন্তকারীদের।
চার্জশিটে এটাও দাবি করা হয়েছে যে, দিল্লিতে পাক হাইকমিশনে কর্মরত দানিশ আলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন জ্যোতি। তাঁদের দু’জনের কথোপকথনের তথ্যও পুলিশের হাতে এসেছে। শুধু দানিশ নয়, পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্ট শাকির, হাসান আলি এবং নাসির ধিঁলোর সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। নাসিরের সঙ্গে জ্যোতির কথোপকথনের তথ্যও উদ্ধার হয়েছে।