(বাঁ দিকে) এই বাইকচালকের সঙ্গেই বাসের ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনার কবলে বেঙ্গালুরুগামী বাস (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তদন্তের মাঝে সেখানকারই একটি পেট্রল পাম্পের সিসিটিভির একটি ফুটেজ এই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ঘটনাচক্রে, যে বাইকের সঙ্গে বাসটির ধাক্কা লাগে, সেই বাইকচালক বি শিবশঙ্করকে দেখা গিয়েছিল ওই পেট্রল পাম্পেই। পুলিশের হাতে ওই ভিডিয়ো এসেছে। সূত্রের খবর, ওই ভিডিয়ো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
বাসটি যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তখন শুক্রবার ভোর। সূত্রের খবর, ঘটনাচক্রে, ওই সময়ের কিছু আগেই পেট্রল পাম্পে দেখা গিয়েছে শিবশঙ্করকে। পেট্রল পাম্পে এসেছিলেন। কোনও পেট্রলকর্মীকে দেখতে না পেয়ে দ্রুতগতিতে বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান। বাইক সেই সময়েই বেসামাল হয়ে যাচ্ছিল। আর তা থেকেই তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন বাইকচালক। তদন্তকারীদের এটাও ভাবাচ্ছে যে, বাইকচালক আগেই দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন, না কি বাসের ধাক্কায় পড়ে যান। যে সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি, সেই সময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল, তা ছাড়াও ঘন অন্ধকার ছিল।
তদন্তকারীদের অনুমান, বাইকচালক আগেই রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। বৃষ্টি আর অন্ধকার থাকার কারণে বাসচালক বাইকচালককে দেখতে পাননি। ফলে চালক-সহ বাইক বাসের সামনে আটকে যায়। ওই অবস্থাতেই ২০০ মিটার বাইকটিকে টেনে নিয়ে যায় বাসটি। রাস্তার সঙ্গে বাইকের ঘর্ষণে স্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি হয়। বাইকের ট্যাঙ্ক থেকে পেট্রল লিক করছিল। ঘর্ষণে সৃষ্ট স্ফুলিঙ্গ ওই জ্বালানির সংস্পর্শে আসতেই বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আর তার পরই বাসে বিস্ফোরণ হয়। পুরো বাস আগুনের গ্রাসে চলে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ২০ জনের।
তদন্তকারীদের সন্দেহ, একটি সাধারণ মানের বাসকে অবৈধ ভাবে আদ্যোপান্ত ভোল বদলে আধুনিক বাসের মতো তৈরি করা হয়েছিল। ফলে নিরাপত্তার বিষয়টি নজরই দেওয়া হয়নি। আপৎকালীন সময়ে বাসের জানলার কাচ ভাঙার জন্য যে ছোট হাতুড়ি থাকার কথা, সেগুলি ছিল না। ফলে বাসের ভিতরে অধিকাংশ যাত্রীই আটকে পড়েছিলেন।