হরিয়ানার পুলিশের এডিজি ওয়াই পূরণ কুমার। — ফাইল চিত্র।
হরিয়ানা পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি ওয়াই পূরণ কুমার কি আত্মহত্যা করেছেন, না কি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ? সেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তার মধ্যেই এ বার মৃত্যুর ঘটনার এফআইআরে আরও একটি নতুন ধারা যোগ করা হল। সূত্রের খবর, এডিজি-র স্ত্রী অমনীত কুমারের দাবি মেনেই নতুন ধারা যোগ করা হয়েছে।
অমনীতের দাবি ছিল, পুলিশ এফআইআরে তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের লঘু ধারা দিয়েছে। সেই ধারাগুলি সংশোধন করা উচিত। সেই চিঠিতেই বলা হয়েছিল, এই মামলায় তফসিলি আইনের ৩ নম্বর ধারার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের পাঁচ নম্বর উপধারাই এই মামলায় প্রযোজ্য হওয়া উচিত। সেই দাবি মেনেই এ বার সেই ধারা জুড়ল পুলিশ।
কী এই ধারা? এই ধারায় বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীকে তফসিলি জাতি ও উপজাতির হতে হবে। আর জাতপাতের কারণে যদি ভুক্তভোগীর উপর নির্যাতন করা হয় তবে এই ধারা বলবৎ হতে পারে। এই ধারায় কেউ যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তাঁর ১০ বা তার বেশি বছর কারাবাসের বিধান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার চণ্ডীগড়ের বাড়ি থেকে এডিজি-র গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পুলিশকর্তা নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। আট পাতার একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। সেখানে তাঁকে লাগাতার হেনস্থা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মূলত রাজ্যের ডিজি শত্রজিৎ কপূর এবং রোহতকের পুলিশ সুপার বিজার্নিয়ার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও আরও ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে গিয়েছেন।
এডিজি-র দেহের পাশ থেকে প্রাপ্ত সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে প্রথমে এফআইআরে ধারা দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন মৃতের স্ত্রী।
ডিজি এবং এসপি-র বিরুদ্ধে গত বুধবার এফআই দায়ের করেন এডিজি-র স্ত্রী অমনীত কুমার। শুধু তা-ই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নায়েব সিংহ সাইনির কাছে চিঠি লিখে আর্জি জানান, অভিযুক্ত দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে যেন দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। বৃহস্পতিবার আইজি-র নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি সিট গঠন করা হয়। রাজ্যের পুলিশ মহলেও এডিজি-র মৃত্যুতে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যেই শনিবার রোহতকের পুলিশ সুপার বিজার্নিয়াকে সরিয়ে দিয়েছে হরিয়ানা পুলিশ।