আইএসআই যোগের সন্দেহে গ্রেফতার হরিয়ানার আইনজীবী। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পেশায় আইনজীবী। তবে কাজ করতেন পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর হয়ে। এমনটাই সন্দেহ তদন্তকারীদের। সেই অভিযোগেই বুধবার হরিয়ানার নুহ্ থেকে গ্রেফতার করা হল রিজ়ওয়ান নামে এক তরুণকে। কেন্দ্রীয় এক গোয়েন্দা সংস্থার থেকে ওই আইনজীবীর বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য পায় হরিয়ানা পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই পাকড়াও করা হয় রিজ়ওয়ানকে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে রিজ়ওয়ানের খোঁজে নুহ্ শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে খরখড়ি গ্রামে হানা দেন তদন্তকারীরা। এই গ্রামেই বাড়ি ওই আইনজীবীর। সোমবারই তাঁকে আটক করা হয়। দু’দিন ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পরে বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, রিজ়ওয়ানের উত্তরে বেশ কিছু জায়গায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার যথাযথ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছেন আধিকারিকেরা।
ভারতের বেশ কিছু সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার কাছে তিনি পাচার করেছেন বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। তবে কী ধরনের তথ্য পাচার হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অনলাইনে বেশ কয়েক জন পাকিস্তানির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। রিজ়ওয়ানের হোয়াট্সঅ্যাপের কথোপকথন, ফোনালাপ এবং অন্য বেশ কিছু ডিজিটাল নথি ইতিমধ্যে তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। তাতে ওই আইনজীবীর সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থার যোগাযোগের বিষয়ে সন্দেহ আরও প্রকট হয়েছে। বেশ কিছু সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনও ইতিমধ্যে তদন্তকারীদের নজরে এসেছে।
ধৃত ওই আইনজীবী হাওয়ালা মারফত কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, আইএসআই হ্যান্ডলারদের থেকেও ওই টাকা রিজ়ওয়ানের হাতে এসেছে। হরিয়ানার তাওয়ান্ডু শহরে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় রিজ়ওয়ানের অ্যাকাউন্টও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েক দফায় মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। তাঁর সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করার জন্য ইতিমধ্যে উদ্যোগী হয়েছেন তদন্তকারীরা।