অনেক টালবাহানার পরে পটনার ৫ দেশরত্ন রোডের সরকারি বাংলো ছেড়েছেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। মহাজোটের সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই বাংলোই ছিল তাঁর ঠিকানা। নিজের সরকারি ঠিকানাকে সরকারি টাকায় রাজকীয় রূপ দেন তিনি।
বাংলোর প্রতিটা অংশই গড়ে তোলা হয়েছিল অত্যন্ত দামি এবং অত্যাধুনিক আসবাব দিয়ে। যার অন্দরসজ্জা দেখে চমকে যান বিহারের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। যা দেখে চোখ কপালে উঠবে আপনারও।
৫ দেশরত্ন রোডের ওই সরকারি আবাসনকে বাংলো না বলে পাঁচতারা হোটেল বলাই ভাল। দু’একটি নয়, ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য ৪৫টি এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে বাংলোয়। বাড়ির সামনে সুন্দর ঝাঁ চকচকে লন, রয়েছে জগিং ট্র্যাকও।
উপমুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তেজস্বী যাদব ভবন নির্মাণ দফতরের মন্ত্রীও ছিলেন। তাই নিজে হাতে বিদেশ থেকে ঘর সাজানোর আসবাব কিনে আনেন।
তিনি বিদেশ থেকে উন্নতমানের টাইলস আনিয়েছিলেন বাংলোর লুক বদলানোর জন্য। বাংলোর বাথরুমে তিনি লাগিয়েছিলেন আধুনিক সেন্সর।
নিজের শরীরচর্চার জন্যও উপমুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অনেক ভাবনাচিন্তা করেছিলেন লালুপুত্র। সে কারণে নানা রকম শরীরচর্চার উপকরণ রেখেছিলেন বাংলোয়। পাশাপাশি একটা বিলিয়ার্ডস বোর্ডও রেখেছিলেন তিনি।
বাংলোর একটা অংশে অ্যাস্ট্রোটার্ফ তৈরি করান তেজস্বী। অ্যাস্ট্রোটার্ফ আসলে কৃত্রিম ঘাস। খেলার মাঠে যা সাধারণত দেখা যায়।
২০১৫ সালে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি মনের মতো করে এই বাংলোটিকে সাজিয়েছিলেন। কিন্তু এই বিলাসিতা বেশি দিন তাঁর ভাগ্যে জুটল না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত বাংলো ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।