আত্মসমর্পণও করিনি, ভারতে ফিরতে চাই: ছোটা রাজন

প্রাণ ভয়ে ঠিকানা বদল করেননি। ইন্দোনেশিয়া পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণও করেননি। উপরন্তু বালিতে পৌঁছনোর পর তাঁকে আচমকাই গ্রেফতার করা হয়েছে। আত্মসমপর্ণের জল্পনা উড়িয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা বললেন ছোটা রাজন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৫ ১১:২১
Share:

পুলিশ হেফাজতে ছোটা রাজন। ছবি: এপি।

প্রাণ ভয়ে ঠিকানা বদল করেননি। ইন্দোনেশিয়া পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণও করেননি। উপরন্তু বালিতে পৌঁছনোর পর তাঁকে আচমকাই গ্রেফতার করা হয়েছে। আত্মসমপর্ণের জল্পনা উড়িয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা বললেন ছোটা রাজন।

Advertisement

পুলিশ লক আপে বসে ছোটা রাজন দাবি করেছেন, “কারও ভয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছিলাম না। অবিলম্বে ভারতে ফিরতে চাই।” ধরা পড়ার পরে অবশ্য পুলিশকে তিনি ভারতে ফিরতে চান না বলেই জানিয়েছিলেন। প্রাণে বাঁচতে তাঁকে জিম্বাবোয়েতে পাঠানোর আর্জিও জানান। ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির পর দাউদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ ছোটা শাকিল তাঁকে খুনের হুমকি দেন। তার ফলেই তিনি ভারতে ফিরতে বেশ ভয় পাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর এই আর্জি মানা হয়নি। ইতিমধ্যেই ছোটা রাজনকে হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বেগতিক বুঝেই কি ছোটা রাজন এখন তাঁর কথা ঘোরাচ্ছেন? বিপাকে পড়ে ভারতের আশ্রয়ে নিরাপদে জীবন কাটানোর জন্যই কি তিনি এখন ভারতে আসতে চাইছেন।

সূত্রের খবর, দাউদের ভয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি। শেষে ঠিকানা বদলাতে সিডনি থেকে উড়ে আসেন বালিতে। অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে গোপন তথ্য পেয়ে রবিবার ছোটা রাজনকে গ্রেফতার করে ইন্দোনেশিয়া পুলিশ। ইন্দোনেশিয়া পুলিশ কমিশনার বলেন, “পুলিশকে দেখে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন ছোটা রাজন। ঘন ঘন ধূমপানও করছিলেন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement