স্কুলের পরীক্ষার উত্তরপত্র বিক্রি হচ্ছিল কাগজের ফেরিওয়ালার দোকানে! তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল হাইলাকান্দির নিমাইচাঁদপুরে। গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে নিমাইচাঁদপুর উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। স্কুলের আরও দুই শিক্ষক এবং চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কাল ফেরিওয়ালার দোকানে পরীক্ষার উত্তরপত্র বিক্রি হতে দেখেন কয়েক জন। বোঝা যায়, সেগুলি স্কুলের ষাণ্মাসিক পরীক্ষার উত্তরপত্র। খবর পেয়েই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। আজ এলাকাবাসী ওই স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ফয়জুল হক মাঝারভুঁইঞার কাছে উত্তরপত্র বাজারে বিক্রি হওয়ার কারণ জানতে চান। অভিযোগ, ওই শিক্ষক কোনও জবাব দিতে পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দারা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবি জানান। স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইলাকান্দির অতিরিক্ত জেলাশাসক এফ আর লস্কর পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। স্কুলে পৌঁছন লালার সার্কেল অফিসার মধুমিতা নাথ। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে স্কুলের গত ষাণ্মাসিক পরীক্ষার উত্তরপত্র বাজারে বিক্রির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তার জেরে প্রধান শিক্ষক ফয়জুল হক লস্করকে সাসপেন্ড করা হয়। সহকারী শিক্ষক ঝর্না সিংহ, কবীর আহমেদ মাঝারভুঁইয়া এবং স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নুরুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞসাবাদ করার নির্দেশ দেন এডিসি। তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।