জলমগ্ন রাজস্থানের বিকানের। ছবি: পিটিআই।
গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজস্থান। বেশ কয়েকটি জেলা জলমগ্ন। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কোটা, জালোর, পালী, ধোলপুরে। বৃষ্টির জন্য দুর্ঘটনায় গোটা রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। মৌসম ভবন বলছে, এখনই রাজ্যে বৃষ্টি থামবে না।
জোধপুরে খেতে কাজ করার সময় এক কৃষক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। এক বিদ্যুৎকর্মীরও মৃত্যু হয়েছে ওই জেলায়। ভারী বৃষ্টির কারণে পালী জেলায় খরস্রোতা নদীগুলিতে জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। মঙ্গলবার সেখানে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। পালী শহরের বেশ কিছু জায়গায় জল জমে রয়েছে। জেলাশাসক এলএন মন্ত্রী এবং পুলিশ সুপার চুনারাম জাট ট্রাক্টরে চেপে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে যান।
জালোর এবং জোধপুরে রেললাইনের উপরে জল দাঁড়িয়েছে। মারওয়াড় জংশন থেকে লুনির মধ্যে বেশি কিছু অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ। পালী এবং মারওয়াড় জংশনের মধ্যে চলাচল করে যে সব ট্রেন, সেগুলিরও সময় পরিবর্তিত হয়েছে। জোধপুর এবং অহমদাবাদের মধ্যে চলাচলকারী সবরমতী এক্সপ্রেসও বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন চলছে ঘুরপথে। বন্যাবিধ্বস্ত জেলাগুলির পরিবর্তে সমদড়ী-ভীলডী রুটে চলছে।
চম্বল নদীর উপরে কোটা বাঁধের একাংশ খুলে দু’লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে কোটার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন । ১০ হাজার মানুষ ঘরবন্দি। নদীতে মাছ ধরতে নেমে ভেসে গিয়েছেন সাত জন। পরে এক জনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের খোঁজ মেলেনি। শহরের বেশ কিছু অংশে উদ্ধারের কাজে নেমেছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কোটার রানপুরে রাস্তায় স্কুটারে চেপে বার হয়েছিলেন এক কলেজছাত্রী। জলের স্রোতে তিনি ভেসে যান। পরে উদ্ধার করা হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। ধোলপুরে প্লাবিত হয়েছে পার্বতী নদী। অন্তত ১২টি গ্রাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তিন জন স্রোতে ভেসে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা জেলাশাসকদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। কিছু জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভীলওয়াড়া, সিরোহী, বারান, টোঙ্কে আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।