শিক্ষকদের বেতন নিয়ে জবাব হিমন্তের

বিদ্যালয় প্রাদেশিকীকরণে নয়া নীতি প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত ২০১১ সালের আইনের আওতায় চাকরি সরকারিকরণ হওয়া ৪১ হাজার ৩৭২ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী আগের মতোই বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন— আজ অসম বিধানসভায় এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৫
Share:

বিদ্যালয় প্রাদেশিকীকরণে নয়া নীতি প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত ২০১১ সালের আইনের আওতায় চাকরি সরকারিকরণ হওয়া ৪১ হাজার ৩৭২ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী আগের মতোই বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন— আজ অসম বিধানসভায় এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তিনি জানান, অধিগ্রহণ সংক্রান্ত আগের আইন হাইকোর্ট বাতিল করার পর নতুন আইনের খসড়া তৈরি হচ্ছে। তা লাগু না হওয়া পর্যন্ত কোনও ব্যক্তিগত স্কুল-কলেজের শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীর চাকরি সরকারিকরণ করা হবে না। মন্ত্রীর হিসেবে, আগের আইন অনুযায়ী ১ হাজার ৮৭৮টি হাইস্কুলের ১৫ হাজার ৭০৪ জন, ৬৮টি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের ৬২৬ জন, ১২টি জুনিয়র কলেজের ১৭৯ জন, ৫ হাজার ৪৯টি নিম্ন প্রাথমিক স্কুলের ১০ হাজার ৩১৮ জন, ১ হাজার ৭৫৩টি উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের ১১ হাজার ৬৩৯ জন ও ১৩৪টি কলেজের ২ হাজার ৯৫৬ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরির সরকারিকরণ করা হয়েছে। হিমন্তবাবু আরও জানান, হাইস্কুলগুলিতে এখন ৬ হাজার ৪৯৯ জন ঠিকাভিত্তিক শিক্ষক নিযুক্ত রয়েছেন। তাঁদের স্থায়ী হতে হলে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্নাতক হতে হবে। থাকতে হবে বিএড ডিগ্রি।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী মেনে নেন, বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীর অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা কম। ২০১৫-১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০ হাজার ৬৯৭ জন ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ০১১ জন শিক্ষকের পদ খালি আছে। তা পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হচ্ছে। বিধায়ক ভবেশ কলিতার প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০০৭-০৮ সালে ভারত সরকার রাজ্য সরকারকে ৮১টি আদর্শ বিদ্যালয় গড়তে নির্দেশ দেয়। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের মধ্যে স্কুল তৈরির কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কাজ শেষ হয়নি। ৮১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৬টি বিদ্যালয় তৈরির জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে যাবতীয় অনুমোদন মিলেছিল। তার মধ্যে ৪৭টি বিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়। কাজ শেষে হয়েছে মাত্র ২৪টির। এর মধ্যে ১৫টি বিদ্যালয়ে ২০১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পাঠদান শুরু হয়েছে। ২২টি বিদ্যালয় তৈরির কাজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন