অনুরোধের অপেক্ষা। তা হলে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন খোদ তরুণ গগৈও— গগৈ শিবিরের চ্যালেঞ্জের মুখে এমনই জবাব দিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া জালুকবাড়ির বিধায়ক হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
আজ গগৈ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হিমন্ত জানান, তিনি নিজে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করবেন না। তবে বিধানসভার স্পিকার নির্দেশ দিলে বিধায়ক পদ ছাড়তে তৈরি। হিমন্ত বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। সাসপেন্ড না করে পুরোপুরি বহিষ্কার করুক। আমি সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাব না। স্পিকারের নির্দেশ মেনে নেব।’’ হিমন্তের দাবি, অসমে কংগ্রেসের শুধু ৯ জন বিধায়ক নন, আরও অনেকে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। ২-৩ দিনের মধ্যে এমন বিধায়কদের প্রথম তালিকা প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের এখন ভাঙা হাটের অবস্থা। তেমন ভাবে অনুরোধ জানালে তরুণ গগৈও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।’’ হিমন্তের বিজেপিতে যোগ দেওয়া ও দলের অন্য হিমন্তপন্থী বিধায়কদের বিদ্রোহ নিয়ে চিন্তিত সনিয়া গাঁধী মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্তকে দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সনিয়া এবং রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করার পর এ দিন অঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘হিমন্তর সৎ সাহস থাকলে তিনি বিধায়ক পদ ত্যাগ করুন।’’ তিনি আরও জানান, দলের যে সব বিধায়ককে শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কৃপানাথ মালাহ ই-মেল করে ক্ষমা চেয়েছেন। কৃপানাথ জানিয়েছেন, তিনি কংগ্রেসেই থাকতে চান।
অঞ্জনবাবুর দাবি, কংগ্রেসের ঘর ভেঙে বিজেপির লাভ হবে না। ২০১৬ সালে কংগ্রেসই ক্ষমতায় আসবে। বরং, এক সময় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিধায়কদের দলে টানায় বিজেপিরই ফলাফল খারাপ হবে। গগৈ জানিয়ে দেন, সাসপেন্ড হওয়া বিধায়কদের ফের দলে নেওয়া হবে না। শো-কজ নোটিস পাওয়া বিধায়করা অনুরোধ জানালে তা নিয়ে বিবেচনা করা হবে। দু’জনই সনিয়াকে জানিয়েছেন, যদি ৯ জন বিধায়কও দল ছাড়েন, তবুও অসমে কংগ্রেস ভেঙে পড়বে না। সরকারও পড়বে না। গগৈ বলেন, ‘‘এখনও বিধায়ক পদ না ছাড়েননি হিমন্ত। তিনি কি নির্বাচন পর্যন্ত দলে থাকারই পরিকল্পনা করছেন?’’ অঞ্জনবাবু জানান, সনিয়ার সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, অসমে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে কোনও আলোচনা করা হয়নি।
অসম বিজেপি জানিয়েছে, বিজেপির ভাল দিনে যোগ দিলেই টিকিট মিলবে না। নবাগতদের জন্য তৈরি করা হবে নজরদারি কমিটি।