National News

দুষ্টুমির ‘শাস্তি’, গলায় পা দিয়ে মেঝেয় চেপে ধরে কুড়ুল দিয়ে শিশুর গলা কাটতে উদ্যত শিক্ষক!

প্রাণপণে আর্তনাদ করেই চলেছে ছোট্ট ছেলেটি। কাঁদতে কাঁদতে ছেড়ে দেওয়ার আর্তি জানাচ্ছে বারবার। কিন্তু তাতে কান দেওয়ার নাম নেই ওই ব্যক্তির।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯ ১২:৪৭
Share:

অভিযুক্ত শিক্ষক। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি

হয়তো ঠিকমতো পড়াশোনা করেনি। অথবা কোনও দুষ্টুমি করেছে বছর সাত-আটের ছেলেটা। কিন্তু তার জন্য এই ‘শাস্তি’! এক রত্তি ছেলেটার গলায় পা দিয়ে মেঝেয় চেপে ধরে কুঠার দিয়ে গলা কাটতে উদ্যতশিক্ষক। জম্মু-কাশ্মীরের এমনই এক হাড় হিম করা ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এমন শিক্ষককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে।ওই ভিডিয়োর ভিত্তিতেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

ভিডিয়োটি কবেকার বা ঠিক কোথাকার, তা এখনও জানা যায়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে দু’-তিন দিন আগে। ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মাঝবয়সী এক ব্যক্তি সাত-আট বছরের এক শিশুর গলায় পা দিয়ে মেঝের সঙ্গে চেপে ধরে রেখেছে। ওই ব্যক্তির হাতে ধারালো একটি কুঠার বা কুড়ুল। মাঝে মধ্যেই গলার কাছে কুড়ুল নিয়ে গিয়ে গলা কেটে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ওই ব্যক্তি। কখনও বা কুড়ুল গলায় ঠেকিয়ে চেপে ধরতেও দেখা যাচ্ছে।

অন্য দিকে প্রাণপণে আর্তনাদ করেই চলেছে ছোট্ট ছেলেটি। কাঁদতে কাঁদতে ছেড়ে দেওয়ার আর্তি জানাচ্ছে বারবার। কিন্তু তাতে কান দেওয়ার নাম নেই ওই ব্যক্তির। ভিডিয়োতে একটা সময় দেখা যাচ্ছে ওই শিশুর সমবয়সী আরও অনেকেই বসে আছে ওই ঘরটিতে। এক মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োতে এক্কেবারে শেষ মুহূর্তে তাঁকে ছেড়ে দিচ্ছে ওই ব্যক্তি।

Advertisement

একটি সংবাদ সংস্থার মতে, ওই ব্যক্তি আসলে শিক্ষক।তবে ওই শিশু বা অন্য কারও পরনে স্কুল ড্রেস নেই। ফলে গৃহশিক্ষক বা কোচিং সেন্টারেও এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, হোমওয়ার্ক বা পড়াশোনা না করা এবং দুষ্টুমি করার জন্য গলা কেটে খুনের হুমকি দিচ্ছে ওই ব্যক্তি। ভিডিয়োটি কাশ্মীরেঅনন্তনাগ এলাকার এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক বলেও জানিয়েছে ওই সংবাদ সংস্থা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই তুমুল আলোড়ন পড়ে যায়। ফেসবুক, টুইটারে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি তুলেছেন অনেকেই। কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘উনি কি শিক্ষক না জল্লাদ’? ফেসবুকে এক জনের মন্তব্য, ‘শিশুটি যে ভাবে চিৎকার করছে, তাতে আতঙ্কেই মারা যেত পারত সে। নির্দয় কসাই।’

আরও পডু়ন: বাঁধ ভেঙে মহারাষ্ট্রে বানভাসি ৭ গ্রাম, মৃত ৬, নিখোঁজ অন্তত ২০

আরও পড়ুন: কাটমানি, সন্ত্রাসে তোলপাড় লোকসভা, আক্রমণে রাজ্যের বিজেপি সাংসদেরা

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম যেখান থেকে ভিডিয়োটি আপলোড হয়েছিল, তার সূত্র ধরেই প্রাথমিক ভাবে ওই শিশুকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি তদন্তকারীরা। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। অবিলম্বে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করতে সব রকম চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন