Jaipur Student Death

‘আমাকে স্কুলে পাঠিয়ো না!’ দিনরাত কাঁদত শিশু, ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে তাই কি ঝাঁপ? কী হয়েছিল জয়পুরে

রাজস্থানের জয়পুরে স্কুলের পাঁচতলার বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ার। পরিবারের দাবি, স্কুলে তাকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৩
Share:

স্কুলের পাঁচতলায় ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে বারান্দার রেলিংয়ে উঠছে ছাত্রী। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।

রাজস্থানের জয়পুরে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য জমাট বাঁধছে। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলে নানা ভাবে ওই ছাত্রীকে হেনস্থা করা হত। প্রায়ই সে স্কুলে না-যেতে চেয়ে কান্নাকাটি করত। কিন্তু একাধিক বার এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ, বাবা-মায়ের কথায় গুরুত্বই দেননি শ্রেণিশিক্ষিকা।

Advertisement

জয়পুরের ওই স্কুলের পাঁচ তলার বারান্দা থেকে গত ১ নভেম্বর পড়ে যায় ছাত্রী। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সে নিজেই বারান্দার রেলিংয়ে উঠছে এবং নীচে পড়ে যাচ্ছে। অভিযোগ, এর ঠিক আগে নিজের ক্লাসরুমে ছিল সে। শিক্ষিকার কাছে দু’বার উঠে গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কিছু কথা হয়েছিল। তার পরেই ক্লাসরুম থেকে বারান্দায় বেরিয়ে আসে সে। উঠে পড়ে রেলিংয়ে। যদিও ফুটেজ দেখে কেউ কেউ দাবি করছেন, শিশু নিজে ঝাঁপ দেয়নি। বরং রেলিংয়ে ওঠায় পা ফস্কে পড়ে গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের হেনস্থা সহ্য করতে না-পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।

শিশুর মায়ের দাবি, ৯ বছরের আমাইরা স্কুলে যেতে পছন্দ করত না। প্রায় এক বছর ধরে এই সমস্যা লেগেই ছিল। বাড়িতে কান্নাকাটির একটি অডিয়ো রেকর্ড করেছিলেন তার মা। সেখানে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আমি স্কুলে যেতে চাই না। আমাকে পাঠিয়ো না।’’ এই অডিয়ো সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষিকাকে শুনিয়েছিলেন ছাত্রীর মা। তার সঙ্গে স্কুলে ‘অস্বাভাবিক’ কিছু হচ্ছে, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। ছাত্রীর মা বলেছেন, ‘‘আমি একাধিক বার স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু ওঁরা আমার কথায় কোনও গুরুত্ব দেননি। অবহেলা করেছে।’’

Advertisement

ছাত্রীর বাবার দাবি, স্কুলের অন্য ছাত্রছাত্রীরা তাঁর কন্যাকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করত। মৌখিক এবং শারীরিক ভাবে হেনস্থা চলত। এক বার অভিভাবক-শিক্ষক বৈঠকেও (পিটিএম) সে কথা তাঁরা তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু উল্টে তাঁদেরই বলা হয়েছিল, ছাত্রীকে বাকিদের সঙ্গে মিশতে শিখতে হবে।

স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাঁচতলা থেকে পড়ে যাওয়ার পর পুলিশ আসার আগেই রক্তের দাগ মুছে ফেলা হয় ঘটনাস্থল থেকে। সিবিএসই বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, সমস্ত ক্লাসের সিসিটিভিতে অডিয়ো রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক। ওই স্কুলে তা সত্ত্বেও অডিয়ো রেকর্ডিং হয়নি ক্লাসের ফুটেজে। পুলিশ মৃত ছাত্রীর বাবা-মায়ের বয়ান রেকর্ড করেছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান জয়পুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রাজর্ষি রাজ বর্মা। তবে এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement