Ministry of Human Resource Development

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক পাল্টে হল শিক্ষা মন্ত্রক, অনুমোদন মন্ত্রিসভার

নতুন ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’তেও সবুজ সঙ্কেত দিল মন্ত্রিসভা। মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, ৩৪ বছরে শিক্ষানীতিতে কোনও বদল হয়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২০ ১৫:০৭
Share:

‘মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম বদলে হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রক করার সুপারিশ মন্ত্রীসভার অনুমোদনের অপেক্ষায়। —প্রতীকী ছবি

ইতিহাস হয়ে গেল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক’। এ বার থেকে এই মন্ত্রকের নাম হয়ে গেল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। বুধবার মন্ত্রকের প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর পাশাপাশি এ দিন নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতেও সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এসেছে একগুচ্ছ রদবদল।

Advertisement

নতুন শিক্ষানীতির খসড়া প্রস্তুতির সময় ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে কস্তুরিরঙ্গনের নেতৃত্বে এক দল বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। সেই কমিটিই মন্ত্রকের নাম পরিবর্তনের সুপারিশ করে। সেই মতো শিক্ষানীতির প্রস্তাবের সঙ্গেই নাম বদলের বিষয়টিও সুপারিশ করে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। বুধবার মন্ত্রিসভা সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে।

মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, গত ৩৪ বছরে শিক্ষানীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। আশা করি, দেশবাসী এবং বিশ্বের তাবড় শিক্ষাবিদ এই শিক্ষানীতির প্রশংসা করবেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: আজই পৌঁছবে ৫টি রাফাল, চূড়ান্ত তৎপরতা অম্বালা ঘাঁটিতে, জারি ১৪৪ ধারা

আরও পড়ুন: রাজস্থান: ‘২১ দিনের নোটিস প্রয়োজন’, গহলৌতের প্রস্তাব ফেরালেন রাজ্যপাল

দেশে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েছে। সেগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে একটি নতুন কমিশন বা পর্ষদ গঠন করার কথা বলা হয়েছে নয়া শিক্ষানীতিতে। এ ছাড়া কলেজগুলিকে আরও স্বায়ত্বশাসনের কথা বলা হয়েছে নয়া নীতিতে। কলেজের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এই স্বায়ত্বশাসন দেওয়া হবে। এ ছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় শিক্ষানীতিতে এর আগে আঞ্চলিক ভাষাগুলি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলি থেকে তীব্র আপত্তি উঠেছিল। বুধবার মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নয়া এই জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরির আগে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সবিস্তার পর্যালোচনা করা হয়েছে। ভাষা নিয়ে জটিলতা কাটাতে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, তেলঙ্গানা, কর্ণাটক, ওড়িশার মতো রাজ্যগুলির শিক্ষাসচিবদের সঙ্গে আলোচনায় নানা দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। এ ছাড়া সব মলিয়ে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের কাছ থেকে প্রায় দু’লক্ষের মতো পরামর্শ এসেছে। সেগুলিও খুঁটিয়ে পর্যালোচনার পরেই তৈরি হয়েছে শিক্ষা নীতির চূড়ান্ত খসড়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন