প্রতীকী ছবি।
ঝগড়ার শুরু রান্না নিয়ে। কিন্তু সেই ঝগড়ার মাসুল যে এই ভাবে দিতে হবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি স্ত্রী। বচসার মাঝে স্ত্রীর সামনেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্বামী। তার আগে পিছমোড়া করে বেঁধে দেন স্ত্রীর দু’হাত। শুক্রবার দুপুরে এমনটাই ঘটেছে গাজিয়াবাদের খোদা জেলায়। ঘটনার আকস্মিকতায় শোকে ভেঙে পড়েছেন ওই মহিলা।
গাজিয়াবাদের ওই দম্পতি রিজওয়ান ও নাসরিনের আসল বাড়ি বিহারের সামস্তিপুর। মাস দু’য়েক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে তাঁরা গাজিয়াবাদে আসেন। এখানেই বিয়ে করেন বছর চব্বিশের রিজওয়ান ও নাসরিন। নয়ডার একটি কারখানায় কাজও পান রিজওয়ান। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই তার কাজের জায়গায় অশান্তি চলছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই কারণে মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন তিনি।
খোদা থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ কাজ থেকে বাড়ি ফেরেন রিজওয়ান। স্ত্রীকে জানান তার শরীর বিশেষ ভাল নেই। এর পরেই রান্না নিয়ে শুরু হয় তুমুল ঝগড়া। সেই সময় হঠাত্ই স্ত্রীর দু’হাত পিছমোড়া করে বেঁধে দেন রিজওয়ান। মুখে ঢুকিয়ে দেন কাপড়ের টুকরো। এর পরেই বিছানার চাদর তুলে নিয়ে ফাঁস বানিয়ে ঘরের পাখা থেকে ঝুলে পড়ার চেষ্টা করতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতের বাঁধন খুলে ছুটে যান নাসরিন। ততক্ষণে ফাঁস শক্ত হয়ে বসে গিয়েছে রিজওয়ানের গলায়। নাসরিনের চিত্কার ও কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই তড়িঘড়ি রিজওয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন: সাত বছর ধর্ষণ সয়ে ছুরির কোপ সাধুর যৌনাঙ্গে
নাসরিনের ভাই মহম্মদ ইরশাদ বলেন, “এর আগেও কয়েক মাস আগে দু’জনে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশের সাহায্যে ওদের খোঁজ পাই আমরা। রিজওয়ানকে নাসরিনের থেকে দূরে থাকতে বলি। দু’মাস আগে ফের পালায় ওরা। আর ওদের খোঁজ পাইনি। তবে উত্তরপ্রদেশেরই কোথাও আছে বলে শুনেছিলাম।”