দুর্ঘটনার পরে রাস্তায় পড়ে থাকা বাইক। —প্রতীকী চিত্র।
মত্ত গাড়িচালকদের ‘জঙ্গি’র সঙ্গে তুলনা করলেন হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিএস সজ্জনার। মত্ত চালকেরা রাস্তায় ‘সন্ত্রাস ছড়ান’ বলেন মনে করছেন তিনি। সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে বাইকে ধাক্কা মারার পরে বাসে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়। তদন্তে উঠে এসেছে, বাইকের চালক এবং আরোহী উভয়েই মত্ত ছিলেন। কুর্নুলের ওই বাস দুর্ঘটনার প্রসঙ্গেই সমাজমাধ্যম পোস্টে এই দাবি করেন হায়দরাবাদের পুলিশপ্রধান।
হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার লেখেন, ‘মত্ত চালকেরা জঙ্গি। এটাই শেষ কথা। মত্ত চালকেরা যা করেন, তা আমাদের রাস্তায় সন্ত্রাসী কাজকর্মের চেয়ে কম কিছু নয়। কুর্নুলে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি কোনও দুর্ঘটনা ছিল না। এটি একটি গণহত্যা, যা আটকানো যেতে পারে। এক জন মত্ত বাইক চালকের বেপরোয়া এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের ফলে এটি ঘটেছে। এটি কোনও পথ দুর্ঘটনা নয়, এটি ছিল অপরাধমূলক অবহেলা, যা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পরিবারগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
অন্ধ্রপ্রদেশের দুর্ঘটনার পরে এ বার হায়দরাবাদবাসীকেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘মত্ত হয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়া প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। যারা নিরীহ মানুষের জীবন বিপন্ন করে, তাদের প্রতি কোনও দয়াময়া দেখানো হবে না। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোকে একটি ভুল বলে ব্যাখ্যা বন্ধ করার সময় এসেছে। এটি এমন একটি অপরাধ, যা মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। অপরাধীকে সেইমতো শাস্তিও পেতে হবে।’
অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলের ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ অক্টোবর ভোরে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি ধাক্কা মারে একটি বাইকে। তার জেরেই বিপত্তি ঘটে। ওই বাইকে সওয়ার দু’জন মত্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন কুর্নুল পুলিশের ডিআইজি কোয়া প্রবীণ। তারা তদন্তে নেমে দেখেছে, ওই বাইকটি ওই রাতেই আরও এক বার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। কুর্নুল জেলার চিন্না টেকুরু গ্রামে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল সেটি। পুলিশের অনুমান, চালক মত্ত থাকায় ঘটেছিল দুর্ঘটনা।