Uttarkashi Tunnel Rescue Operation

‘সবচেয়ে বড় আমি, সবার শেষে বেরোব’, সুড়ঙ্গ খালি করে তবেই বেরোলেন উত্তরাখণ্ডের গব্বর সিংহ

গব্বরকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাকি শ্রমিকেরাও। কারণ ১৬ দিনের বন্দিদশায় সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিককে যোগাসন শিখিয়ে গিয়েছেন বয়োজ্যেষ্ঠ গব্বর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৫
Share:

সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসছেন গব্বর। ছবি: পিটিআই।

বয়সে বড়। তাই বিপদেও ছোটদের প্রতি কর্তব্যে অবিচল রইলেন উত্তরাখণ্ডের গব্বর সিংহ নেগি। উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা-বারকোট সু়ড়ঙ্গ থেকে ৪০ জন বেরিয়ে আসার পর, সবার শেষে বেরোলেন তিনি। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করার প্রায় ১৮ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর উদ্ধারকারীদের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে গব্বর সিংহের প্রশংসা।

Advertisement

গব্বরকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাকি শ্রমিকেরাও। কারণ ১৬ দিনের বন্দিদশায় বাকিদের যোগাসন শিখিয়েছেন বয়োজ্যেষ্ঠ গব্বর। বিপদ এবং আতঙ্কের মধ্যেও শ্রমিকেরা যাতে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকেন, তা সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করে গিয়েছেন তিনি।

আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গব্বর। সেখানেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা চলছিল। হাসপাতালের বাইরে থেকেই গব্বরের ভাই জয়মল সিংহ নেগি এনডিটিভি-কে বলেন, “দাদা বাকিদের বলেছিল, আমি সবার বড়। আমি সবার শেষে সুড়ঙ্গ থেকে বেরোব।” দাদা ফিরে আসায়, তিনি এবং তাঁদের পরিবার যে খুশি, সে কথাও জানান জয়মল।

Advertisement

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গমুখ থেকে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার দূরে উত্তরাখণ্ডের পাওড়ি গঢ়ওয়াল জেলায় গব্বরের বাড়ি। তাঁর সাহসিকতার প্রশংসা শোনা গিয়েছে বাড়়ির লোকেদের কাছ থেকেও। প্রথমে পাইপের মাধ্যমে, পরে ফোনের মাধ্যমে কয়েক দিন ধরেই গব্বরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন ভাই জয়মল। তাঁর কথায়, “দাদা খুব সাহসী। দাদাকে বললাম, উদ্ধারকাজ শুরু হলে তো হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যাবে। তখন কী করবে? বলল, আমি বড়। আমি সবার শেষে বেরোব।”

১৭ দিন পর মঙ্গলবার রাতে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪১ জন শ্রমিককে। সকলেই সুস্থ রয়েছেন। তবে দীর্ঘ দিন সুড়ঙ্গে বন্দি থাকার কারণে তাঁদের মনের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সুড়ঙ্গের বাইরে গড়ে তোলা হয়েছিল অস্থায়ী হাসপাতাল। মঙ্গলবার রাতে সুড়ঙ্গ থেকে বার করার পর শ্রমিকদের সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা চলে। এর পর তাঁদের ৩০ কিলোমিটার দূরে চিনিয়ালিসৌর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই ৪১টি শয্যা তৈরি ছিল। প্রত্যেক শয্যায় ছিল অক্সিজেনের ব্যবস্থা। তবে সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে সে সবের প্রয়োজন হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন