— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পণের দাবিতে নির্যাতন করা হত। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হলেন আইএএস অফিসারের মেয়ে। অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন সূত্রে খবর, মৃত যুবতীর নাম মাধুরী সাহিতিবাই (২৫)। রাজ্যের এক আমলার মেয়ে ছিলেন মাধুরী। চলতি সপ্তাহে গুন্টুরে বাপের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন তিনি। মঙ্গলবার এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৫ মার্চ মাধুরীর বিয়ে হয়। নিজের প্রেমিককে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক মাস আগে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন ওই যুবতী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাবা-মা মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। সেই থেকে বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন তিনি। রবিবার সেখান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
যুবতীর পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় শৌচাগারে যান মাধুরী। কিন্তু অনেক ক্ষণ কোনও সাড়াশব্দ না মেলায় সকলের সন্দেহ হয়। শেষমেশ দরজা ভাঙতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাকিরা। মঙ্গলাগিরির ডিএসপি মুরলী কৃষ্ণ পিটিআই-কে বলেন, ‘‘বাপের বাড়ি থেকেই একজন আইএএস অফিসারের মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এর আগে তিনি শ্বশুরবাড়ির পরিজনদের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন।’’ ঘটনায় মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।