Salt Consumption in India

নুন বেশি খেয়ে ভারতীয়েরা নিঃশব্দ মহামারি ডেকে আনছেন: আইসিএমআর! বিকল্প অভ্যাসের পরামর্শ

আইসিএমআর-এর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিয়োলজির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) নির্ধারিত মানের তুলনায় প্রতি দিন অনেক বেশি নুন খান গড়পড়তা ভারতীয়রা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫ ২১:২৫
Share:

নুন বেশি খেয়ে ভারতীয়েরা ‘নিঃশব্দ মহামারি’ ডেকে আনছেন, বলছে আইসিএমআর। —প্রতীকী চিত্র।

বেশি নুন খেয়ে বিপদ ডেকে আনছেন ভারতীয়েরা। এমনটাই জানাচ্ছে দেশের চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণাধর্মী সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। আইসিএমআর-এর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিয়োলজির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) নির্ধারিত মানের তুলনায় প্রতি দিন অনেক বেশি নুন খান গড়পড়তা ভারতীয়েরা। ফলে নিজেদের অজান্তেই মহামারি ডেকে আনছেন তাঁরা। বিষয়টিকে ‘নিঃশব্দ মহামারি’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। অতিরিক্ত নুন খেলে কী কী রোগের প্রকোপ হতে পারে, তা-ও জানিয়েছে আইসিএমআর। একই সঙ্গে নুন-প্রিয়দের জন্য বিকল্প অভ্যাসের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আইসিএমআর-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে অতিরিক্ত নুন খেলে হাইপারটেনশন, হৃদ্‌রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একই সঙ্গে কিডনি এবং মস্তিষ্কে রক্তরক্ষণের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ‘হু’-প্রতি দিন ৫ গ্রামের কম নুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শহুরে ভারতীয়েরা প্রতি দিন গড়ে ৯.২ গ্রাম নুন খান। গ্রামীণ ভারতের বাসিন্দারা দিনে ৫.৬ গ্রাম নুন খান।

আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা নুন খেতে ভালবাসেন, তাঁরা কম সোডিয়াম যুক্ত নুন খেতে পারেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি-র বিজ্ঞানী সারণ মুরলী বলেন, “অল্প মাত্রায় সোডিয়াম খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং হৃদ্‌যন্ত্রের অবস্থা ভাল থাকবে।” কম সোডিয়াম যুক্ত নুন কোথায় কতটা সুলভে পাওয়া যায়, চেন্নাই শহরে একটি সমীক্ষা করে দেখে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিয়োলজি। তবে সাধারণ আয়োডিন যুক্ত নুনের চেয়ে কম সোডিয়ামযুক্ত নুনের দাম একটু বেশি (প্রতি ১০০ গ্রামে অন্তত চার-পাঁচ টাকা বেশি)। সে কারণেই দৈনন্দিন জীবনে ওই নুনের ব্যবহার কম বলে মনে করছে আইসিএমআর। তা ছা়ড়া ছোট দোকানগুলিতে কম সোডিয়ামযুক্ত নুনের জোগানও কম বলে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করে তুলতে চাইছে আইসিএমআর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement