IIT Delhi

হস্টেলের বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার আইআইটি ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় প্রায়ই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে বেশিরভাগই আত্মহত্যার ঘটনা। কেন পড়ুয়ারা এমন পদক্ষেপ করছেন, তা নিয়ে চিন্তায় মনোবিদরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:২৮
Share:

আইআইটি দিল্লিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা। — ফাইল চিত্র।

হস্টেলের বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হল এক ছাত্রের দেহ। আবারও আইআইটি দিল্লিতে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ওই পড়ুয়া। তবে কেন তিনি এই চরম পদক্ষেপ করলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম সঞ্জয় নেরকার। মহারাষ্ট্রের নাসিকের বাসিন্দা বছর ২৪-এর সঞ্জয় এমটেক-এর ছাত্র ছিলেন। শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

আইআইটি দিল্লি সূত্রে খবর, সঞ্জয় দ্রোণাচার্য হস্টেলের ৭৫৭ নম্বর ঘরে থাকতেন। খুবই মিশুকে ছিলেন তিনি। বন্ধুরা এখনও বুঝতে পারছেন না কেন সঞ্জয় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে সঞ্জয়ের বাবা-মা ছেলেকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু বার বার ফোন করেও ছেলেকে না পেয়ে অগত্যা হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁরা। নিরাপত্তারক্ষীরা সঞ্জয়ের বন্ধুদের খোঁজ নিতে বলেন। তাঁরা গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করেও লাভ হয়নি। তার পর নিরাপত্তারক্ষীরা এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন।’’

ঘরের মধ্যে সঞ্জয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষী এবং অন্যান্য পড়ুয়ারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। আইআইটি কর্তৃপক্ষ মৃতের পরিবারকে বিষয়টি জানান। কেন সঞ্জয় আত্মহত্যা করলেন, তার কারণ খুঁজছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। মানসিক চাপ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, নাকি এই আত্মহত্যার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় প্রায়ই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে বেশিরভাগই আত্মহত্যার ঘটনা। কেন পড়ুয়ারা এমন পদক্ষেপ করছেন, তা নিয়ে চিন্তায় মনোবিদরা। তাঁদের একাংশের মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানসিক চাপই আত্মহত্যার কারণ হয়। এই মানসিক চাপ বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হয়। আবার অনেক সময় র‌্যাগিংয়ের মতো ঘটনাও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই পড়ুয়াদের নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করানোর উপর জোর দিচ্ছেন মনোবিদদের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন