Ladakh

Ladakh: লাদাখ: ফের বৈঠক হবে ভারত-চিনের

অরুণাচলপ্রদেশে চিনের অতি সক্রিয়তার আবহেই লাদাখ সীমান্তে দ্রুত বৈঠকে বসবেন ভারত-চিন সেনা কমান্ডারেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৪১
Share:

ফাইল চিত্র।

অরুণাচলপ্রদেশে চিনের অতি সক্রিয়তার আবহেই লাদাখ সীমান্তে দ্রুত বৈঠকে বসবেন ভারত-চিন সেনা কমান্ডারেরা। সেনা আধিকারিকদের ওই ১৪তম বৈঠকে লাদাখ সীমান্তের বিতর্কিত এলাকাগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকের দিনক্ষণ অবশ্য ঠিক হয়নি।

Advertisement

আজ নয়াদিল্লি ও বেজিং-এর মধ্যে সীমান্ত নিয়ে ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন-এর ২৩তম বৈঠকে প্রাপ্তি বলতে এই ঘোষণাটুকুই। দু’দেশের বৈঠক শেষে আজ সাউথ ব্লক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লাদাখে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে ভারত-চিন। অন্য দিকে যে ভাবে ভারত গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে ‘আপস’ করে চলেছে তা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ক্ষমাহীন অপরাধ বলে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

লাদাখ সীমান্তে সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা করতে গত ১০ অক্টোবর শেষ বৈঠকে বসেছিল ভারত-চিন সেনা। কিন্তু সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে ভারত অযৌক্তিক দাবি করছে বলে চিন যুক্তি সাজানোয় ভেস্তে যায় সেই বৈঠক। যার ফলে লাদাখের প্রবল শীতেও গোগরা, হটস্প্রিংয়ের মতো বিতর্কিত এলাকাগুলিতে এখনও একে-অপরের দিকে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে রয়েছে দু’দেশের সেনা।

Advertisement

সমাধানসূত্র খুঁজতে বিদেশ মন্ত্রক পর্যায়ে আজ বৈঠকে বসেছিল দু’দেশ। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে হওয়া বৈঠক শেষে বিদেশ মন্ত্রক যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, পূর্ব লাদাখের গোগরা, হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কথা বলতে দ্রুত লাদাখ সীমান্তে বৈঠকে বসতে চলেছেন দু’দেশের সেনা আধিকারিকেরা। যদিও কবে সেই বৈঠক হবে, সে বিষয়ে নীরব দু’দেশই।

‘কার্যত নিষ্ফল’ ওই বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোদীর বিদেশনীতির ব্যর্থতা ও চিন প্রসঙ্গে দিল্লির নরম মনোভাবের সমালোচনা করে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের বক্তব্য, গত ১৮ মাসে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নামে চিনকে জমি ছেড়ে দিয়ে ক্ষমাহীন অপরাধ করেছে মোদী সরকার। কেন কৈলাস পর্বতের সুবিধাজনক অবস্থান ভারতীয় সেনাকে ছেড়ে দিতে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। তাঁর প্রশ্ন, সংঘর্ষবিরতির আগে অবধি ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত ভারতীয় সেনা থাকত। কিন্তু এখন ভারতীয় সেনা পিছিয়ে এসেছে ফিঙ্গার-৩-এ। কেন এ ভাবে চিনকে জমি ছেড়ে দিচ্ছে মোদী সরকার, জানতে চেয়েছেন সুরজেওয়ালা।

একই সঙ্গে কেন ডেপসাং এলাকা থেকে এখনও চিন তাদের সেনা প্রত্যাহার করেনি, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। অরুণাচল প্রদেশেও চিন সেনার ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ঘাঁটি বানানো নিয়ে যে ভাবে মোদী সরকার নীরব, তার সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, লাদাখের পরে এ বার অরুণাচল প্রদেশ। কেন্দ্রের নরম বিদেশনীতির কারণে সব সীমান্তই অসুরক্ষিত হয়ে পড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন