Indian Air Force

পাঠানো হল যুদ্ধবিমান, চূড়ান্ত সতর্কবার্তা বায়ুসেনাকে

বুধ ও বৃহস্পতিবার লে ও শ্রীনগরের বায়ুসেনা ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন বায়ুসেনা প্রধান আর কে এস ভাদুরিয়া। আজ সকাল থেকে শুরু তৎপরতা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২০ ১৫:১২
Share:

লে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান। শুক্রবার। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি।

গলওয়ান উপত্যকায় এ বার যুদ্ধবিমান নামাতে শুরু করল ভারতীয় সেনা। দু'দিনের ঝটিকা সফরে গিয়ে লে ও শ্রীনগরের বায়ুসেনা ঘাঁটি পরিদর্শন করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন বায়সেনা প্রধান আর কে এস ভাদুরিয়া। তার পরই শুরু হয়েছে বায়ুসেনার এই তৎপরতা। অন্য দিকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বায়ুসেনাকে। যে কোনও রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফরওয়ার্ড বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে বলে সেনা সুত্রে খবর।

Advertisement

সোমবার রাতে গলওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনা সংঘর্ষে ভারতের দিকে এক কর্নেল-সহ ১৯ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই গলওয়ান উপত্যকার পরিস্থিতি তপ্ত। সোমবার রাতের ওই সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায় মঙ্গলবার। প্রথমে ভারতীয় সেনার এক কর্নেল এবং দুই জওয়ানের মৃত্যুর খবর মিললেও মঙ্গলবার রাতের দিকে জানা যায়, চিনা বাহিনীর হামলায় আহত হয়ে দীর্ঘক্ষণ তীব্র ঠান্ডায় পড়ে থাকার কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৭ জন জওয়ানের। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, ভারতের দিকে কয়েক কিলোমিটার ঢুকে এসে অস্থায়ী ভাবে আস্তানা গেড়েছে চিনের সেনা। সোমবার রাতের সংঘর্ষের পর দু'দেশের মধ্যে একাধিক বার মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতেও চিনা বাহিনী ওই এলাকা ছাড়তে নারাজ। সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে সেই জট কাটানোর চেষ্টা যেমন চলছে, একই ভাবে সামরিক প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে।

মঙ্গলবার দিন ভর টান টান উত্তেজনার পর বুধবার সকালেই লে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পরিদর্শনে যান বায়ুসেনা প্রধান আর এক এস ভাদুরিয়া। সেখানে প্রায় সারা দিন গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে আসেন। তার পর বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের ঘাঁটিতেও একই ভাবে পরিদর্শন করেন তিনি। গোটা ব্যবস্থাপনা ঠিক ঠাক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ৪ অফিসার-সহ আটক ১০ ভারতীয় সেনাকে মুক্তি দিল চিন

আরও পড়ুন: সামরিক, কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে চিনকে পিছু হটানোর চেষ্টায় ভারত

আর তার পরের দিনই শুরু হল আকাশপথে ভারতের তৎপরতা। এ দিন সকাল থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছে একাধিক সামরিক হেলিকপ্টার। চিনুক কার্গো হেলিকপ্টার, অ্যাপাশে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, পি-৮ সার্ভেইলেন্স এয়ারক্র্যাফ্ট (নজরদার বিমান) এবং আইএল-৭৬ স্ট্র্যাটেজিক এয়ারলিফ্টার-ও (কার্গো বিমান)। এই হেলিকপ্টারগুলির মাধ্যমে বিপুল সেনা ও রসদ মজুত করা হচ্ছে সেনাবাহিনীর সূত্রে খবর মিলেছে। সেই প্রস্তুতির সঙ্গে এ বার যুদ্ধবিমানও তৈরি রাখল সেনা বাহিনী, যাতে প্রতিপক্ষের দিক থেকে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে, তার মোকাবিলা করা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন