বৃহস্পতিবার চিনে এসসিও সম্মেলন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ছবি: পিটিআই।
ভারত চাইছিল সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন-এর (এসসিও) বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গের উল্লেখ থাকুক। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দেশ তা মানতে চায়নি। সেই কারণেই এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে বিবৃতি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে এমনটাই জানাল নয়াদিল্লি।
কোনও যৌথ বিবৃতি না দিয়েই চিনে শেষ হয়েছে এসসিও-র সম্মেলন। পিটিআই জানিয়েছে, পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাস নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগের বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ ছিল না এসসিও-র নথিতে। সেই কারণেই ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেননি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এসসিও মূলত সদস্যরাষ্টগুলির ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করে। ঘটনাপরম্পরা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল একাধিক ব্যক্তির থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পিটিআই জানিয়েছে, ওই বিবৃতিতে রাজনাথ অনুমোদন না-দেওয়ায় কোনও যৌথ বিবৃতি ছাড়াই এসসিও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলন শেষ হয়।
পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এসসিও-র সম্মেলনে কোনও যৌথ বিবৃতি গৃহীত হয়নি। কিছু বিষয়ে কিছু দেশ ঐকমত্যে পৌঁছোতে পারেনি। ফলে ওই নথিটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, “ভারত চাইছিল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বেগের কথা ওই নথিতে উল্লেখ থাকুক। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দেশ তা মেনে নিতে পারছিল না। সেই কারণেই বিবৃতিটি গৃহীত হয়নি।”
এসসিও সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে। চিনে আয়োজিত এসসিও-র এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ মুহাম্মদও। সেখানে বক্তৃতার সময়ে নাম না-করে পাকিস্তানকে নিশানা করেছেন রাজনাথ। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণের কোনও জায়গা নেই! যারা সন্ত্রাসবাদকে নিজেদের সঙ্কীর্ণ স্বার্থপূরণের উদ্দেশ্যে প্রশ্রয় দেয় এবং ব্যবহার করে, তাদের এর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও এসসিও সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দেন রাজনাথ।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লির লড়াইয়ের বার্তা স্পষ্ট করে দিয়ে তিনি বলেন, “এই লড়াইয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যাঁরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণ করে, সেই দেশগুলির সমালোচনা করতে এসসিও-র কোনও দ্বিধা থাকা কাম্য নয়।”