কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। —ফাইল চিত্র।
ইস্পাতের কয়েকটি পণ্যের আমদানিতে তিন বছরের জন্য শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। বলা হয়েছে, তিন বছরে ১২ শতাংশ থেকে ধীরে ধীরে ১১ শতাংশে নামবে শুল্ক। ঘরোয়া অর্থনীতিকে রক্ষা এবং ইস্পাতের পণ্যে দেশীয় বাজার ধরে রাখতেই এই পদক্ষেপ। মঙ্গলবার শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিবৃতি জারি করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নির্মলা সীতারমণের মন্ত্রকের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের নিশানায় রয়েছে আসলে চিন। সেখান থেকেই প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে সস্তার ইস্পাত-পণ্য ভারতের বাজারে আসে। এর ফলে দেশে তৈরি পণ্য মার খায়। বাইরে থেকে আসা সস্তার পণ্যগুলির মান উন্নত না হলেও দাম কম হওয়ায় সেগুলিই বেশি করে বিক্রি হয়। বাজারের এই প্রক্রিয়ায় রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত সরকার।
স্থানীয় ভাবে এই শুল্কের নাম সুরক্ষামূলক কর (সেফগার্ড ডিউটি)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কয়েকটি ইস্পাত-পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে আগামী তিন বছরের প্রথম বছর ১২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর ১১.৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছর ১১ শতাংশ করে শুল্ক নেওয়া হবে। তবে কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশকে এই শুল্কে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ছাড় পেয়েছে স্টেনলেস স্টিলের মতো বিশেষ ইস্পাতের পণ্যগুলিও। শুল্ক প্রযোজ্য হবে চিন, ভিয়েতনাম, নেপাল থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর।
বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সস্তার পণ্য কোনও ভাবেই যাতে দেশীয় বাজারে থাবা বসাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। গত এপ্রিলেই সাময়িক ভাবে ২০০ দিনের জন্য ১২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ইস্পাতের পণ্যে। এ ছাড়া, ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ট্রেড রেমেডিস্ সম্প্রতি বিদেশি পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করে তিন বছরের শুল্ক আরোপের পরামর্শ দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক তার ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করল।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-সহ একাধিক দেশের পণ্যে চড়া শুল্ক আরোপ করেছেন। তার পরে চিনের ইস্পাতের পণ্যের রফতানি বেশ কিছুটা বেড়েছে। ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ পাল্টা শুল্ক চাপিয়ে দেশীয় বাজারকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে। ভারতও এ বার সেই পথে হাঁটল।