(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং শাহবাজ় শরিফ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ভারতের বন্ধু দেশের সঙ্গে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি করার পরেই এই বিষয়ে বিবৃতি দিল নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই চুক্তির কী প্রভাব পড়ে, তা খতিয়ে দেখা হবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, বিষয়টি সম্পর্কে ভারত অবহিত।
বুধবার সৌদি আরবে সে দেশের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। তার পর দুই দেশ ‘কৌশলগত এবং পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’-তে স্বাক্ষর করে। সংবাদ সংস্থা এএফপি-র প্রতিবেদন অনুসারে, রিয়াধের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের মধ্যে কোনও একটি দেশ অপর কোনও দেশের আগ্রাসনের শিকার হলে তা দুই দেশের উপর আঘাত হিসাবে দেখা হবে।
বৃহস্পতিবার এই চুক্তি প্রসঙ্গে রণধীর বলেন, “আমরা এই বিষয়ে অবহিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” চুক্তিটি খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে ভারতের জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক সুস্থিতির বিষয়টি মাথায় রাখা হবে বলে জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরেই পাকিস্তানের মাটিতে থাকা একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে সামরিক অভিযান চালিয়েছিল ভারত। ওই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। তার পর চার দিন ধরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত চলে। নয়াদিল্লির তরফে আগেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া হলে ইসলামাবাদকে কড়া জবাব দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ করা হলে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত মেনে ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়াতে পারে সৌদি আরব। সৌদির সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক যথেষ্ট মসৃণ। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কও রয়েছে। এই আবহে ভারত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই ধীরে এগোতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।