নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাবর্ষণ অব্যাহত পাকিস্তানের। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতও। —ফাইল চিত্র।
জঙ্গিশিবিরে হামলার জবাবে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখল পাক সেনা। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ছোড়া গুলিতে বুধবার পুঞ্চ সেক্টরে মৃত্যু হয়েছে ভারতের সেনা জওয়ান ল্যান্সনায়েক দীনেশ কুমারের। বছর বত্রিশের ওই জওয়ান পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণা ঘাঁটিতে টহল দিচ্ছিলেন। নিয়ন্ত্রণরেখার ও পার থেকে ছুটে আসে গোলা। সেই গোলার আঘাতে গুরুতর জখম হন তিনি। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।
নিহত সেনা জওয়ান ল্যান্সনায়েক দীনেশ কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ১৫ দিনের মাথায় মঙ্গলবার প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাক পঞ্জাব প্রদেশের ন’টি লক্ষ্যবস্তুতে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে বায়ুসেনা। এই সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। আর এই অভিযানের পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন গ্রামগুলি লক্ষ্য করে গোলা এবং গুলিবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জম্মুর পুঞ্চ জেলাতেই। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। আহত ৫০ জনেরও বেশি। বুধবার গভীর রাতে উরি, কুপওয়ারাতেও গোলাবর্ষণ চালিয়েছে পাকিস্তান।
এই পরিস্থিতিতে গোলাগুলির পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারত। পাকিস্তানের বেশ কয়েক জন তাতে হতাহত হয়েছেন বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতির উপর সতর্ক নজর রাখছে নয়াদিল্লিও। যে কোনও ধরনের পাক হামলা রুখতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ইউনিটগুলিকে সক্রিয় করে রাখা হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে গ্রামবাসীদের।
নিহত সেনা জওয়ান দীনেশের বাড়ি হরিয়ানার পলওয়াল জেলায়। ২০১৪ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। তাঁর আরও দুই ভাইও সেনায় কর্মরত। ছেলের মৃত্যুসংবাদ শুনে দীনেশের পিতা দয়ারাম শর্মা বলেন, “ও এক জন সাহসী জওয়ান ছিল। গোটা দেশ ওর জন্য গর্বিত। ওর আত্মত্যাগ সকলের মনে থাকবে।”