বিস্ফোরণের পরে রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা। — ফাইল চিত্র।
লাল কেল্লা চত্বরে বিস্ফোরণে দায়ী জঙ্গি মডিউল গোটা দেশের নানা শহরে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
সূত্রের দাবি, জেরার সময়ে ওই মডিউলের সদস্য মুজ়াম্মিল শাকিল জানিয়েছে সে দু’বছর ধরে ওই বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছে। সংগ্রহ করেছে বিস্ফোরক, রিমোট ও বিস্ফোরক তৈরির সামগ্রী। খবর, মুজ়াম্মিলকে ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট কেনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই যৌগ অন্য কয়েকটি সামগ্রীর সঙ্গে মেশালে সহজেই ডেটোনেটর দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো যায়। জানা গিয়েছে, হরিয়ানার গুরুগ্রাম ও নুহ থেকে ২৬ কুইন্টাল এনপিকে সার কেনা হয়। নুহ থেকেই কেনা হয় আরও বিস্ফোরক সামগ্রী। অন্য দিকে, ফরিদাবাদের কয়েকটি বাজার থেকে কেনা হয় প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সামগ্রী। রাসায়নিকগুলিকে স্থিতিশীল রাখার জন্য কেনা হয় একটি ডিপ ফ্রিজ়ার।
সূত্রের আরও দাবি, দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তেরা নিজেরাই অর্থের জোগান দিয়েছিল। বিস্ফোরক কেনার জন্য ২৬ লক্ষ টাকা জোগাড় করে তারা। তার পরে সেই টাকা লাল কেল্লা চত্বরে হামলাকারী উমর উন নবীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্য দিকে, এই তদন্তে আরও এক কাশ্মীরিকে আটক করেছে এনআইএ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এসওজি। পুলওয়ামায় কর্মরত তুফেইল আহমেদ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি সারানোর কাজ করে। আদতে শ্রীনগরের বাসিন্দা তুফেইলকে পুলওয়ামার একটি শিল্প তালুক থেকে আটক করা হয়। সূত্রের খবর, তুফেইলও ওই ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
গোয়েন্দাদের একাংশের মতে, প্যালেস্টাইনের হামাসের কৌশল অনেকটাই অনুসরণ করছিল এই জঙ্গিরা। হামাসেরই কায়দায় হাসপাতালে অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল তারা। আবার নানা শহরে ড্রোন হামলারও ছক কষেছিল তারা।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে