গুজরাতের স্কুলে ছাত্র খুনের ঘটনায় প্রতিবাদ। ছবি: পিটিআই।
স্কুলের বাইরে ছুরি চালানো হয়েছিল তার পেটে। ওই অবস্থাতেই ছুটতে ছুটতে স্কুলের সামনে এসে মুখ থুবড়ে পড়ে যায় দশম শ্রেণির পড়ুয়া। তদন্তে নেমে ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষেরও বেশ কিছু গাফিলতি ধরা পড়েছে বলে সূত্রের খবর।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ার সঙ্গে দশম শ্রেণির পড়ুয়ার মারামারি শুরু হয়েছিল। আধঘণ্টা ধরে দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি, হাতাহাতি চলে। তার পরই দশম শ্রেণির পড়ুয়াকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়। ওই অবস্থাতেই পালিয়ে স্কুলের সামনে আসে আহত পড়ুয়া। স্কুলের কাছেই পড়ে যায় সে। তত ক্ষণে এই ঘটনার কথা স্কুলে জানাজানি হয়ে গিয়েছিল।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দশম শ্রেণির পড়ুয়া আহত অবস্থায় আধঘণ্টা পড়ে ছিল। অভিযোগ, তাকে হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে রক্ত ধোয়ানোর জন্য জলের ট্যাঙ্কার নিয়ে আসেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার পর অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়। শুক্রবার অপরাধদমন শাখা স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, স্কুলের শিক্ষক বা কর্মীরা যদি সময়মতো আহত পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন, তা হলে হয়তো বাঁচানো যেত পড়ুয়াকে। কিন্তু এখানেই গাফিলতি নজরে এসেছে তদন্তকারীদের। ঘটনার পর থেকে পলাতক প্রিন্সিপাল জি ইমানুয়েল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আহত পড়ুয়ার সময়মতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি স্কুল। অ্যাম্বুল্যান্স বা তাঁর বাবা-মাকে খবর না দিয়ে রক্তে ভেজা জায়গা পরিষ্কার করাটাকেই গুরুত্ব দিয়েছিল।’’
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার অহমদাবাদের স্কুলে দশম শ্রেণির পড়ুয়াকে খুনের অভিযোগ ওঠে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে অহমদাবাদ। অভিভাবক এবং স্থানীয়েরা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালান।