কংগ্রেসকেই কংগ্রেস-মুক্ত হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

এক বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারের ‘কংগ্রেস-মুক্ত ভারত’ কথাটি বোঝাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, এত দিন তাঁর দেওয়া স্লোগানের আসল অর্থ কখনও ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১২
Share:

নরেন্দ্র মোদী।

লোকসভা ভোটের আগে ‘কংগ্রেস-মুক্ত’ ভারতের স্লোগান তুলেছিলেন। পরের লোকসভার বছরখানেক আগে এ বারে কংগ্রেসকেই ‘কংগ্রেস-মুক্ত’ হওয়ার দাওয়াই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

এক বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারের ‘কংগ্রেস-মুক্ত ভারত’ কথাটি বোঝাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, এত দিন তাঁর দেওয়া স্লোগানের আসল অর্থ কখনও ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাননি। ‘কংগ্রেস-মুক্ত’ বলতে তিনি কংগ্রেসের সংস্কৃতি থেকে মুক্তির কথাই বলতে চেয়েছেন। কোনও দল, সংগঠন বা তার নেতাদের মধ্যে এটি সীমিত রাখেননি।

মোদীর কথায়, ‘‘স্বাধীনতার পরে জাতিবাদ, পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতি, ধোঁকা, ক্ষমতার মধ্যেই মুখ্যধারায় থাকা কংগ্রেসের সংস্কৃতি ছড়িয়েছে গোটা দেশে। শুধু কংগ্রেস নয়, সব দলেই এর প্রসার ঘটেছে।’’ সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী চান, দেশের গণতন্ত্রের মঙ্গলের পক্ষে, দেশ-দল-মানুষ আর রাজনৈতিক চরিত্র বাঁচাতে কংগ্রেসের সংস্কৃতি থেকে মুক্তি জরুরি। এমনকী কংগ্রেসেরও উচিত ‘কংগ্রেস-মুক্ত’ হওয়া। প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপ, এই সংস্কৃতির জেরেই এখন রাজনীতিতে ভাল লোক আসেন না। একই সঙ্গে লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের সম্মিলিত আক্রমণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বিরোধীদের কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিরোধীদের উচিত মোদীকে খতম করার চেষ্টা করা। শুভকামনা রইল। ওই রাস্তায় হাঁটার জন্যই আমি আজ এখানে পৌঁছেছি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রয়াত ত্রিপুরা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক খগেন দাস

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। কিন্তু দলের এক নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই একতরফা সাক্ষাৎকারের কোনও অর্থ নেই! ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি একতরফা শুধু নিজেই বলে গিয়েছেন। মুখে বললেও আদতে তাঁকে প্রশ্ন করার সুযোগই পাননি কেউ! সব জায়গায় তিনি পালিয়ে বেড়ান! আর আসল প্রশ্নের জবাব দেন না!

ডাভোসে যাওয়ার আগে এই নিয়ে দু’টি সাক্ষাৎকার দিলেন মোদী। আজকের সাক্ষাৎকারে তিনি পরতে পরতে নাম না করে আক্রমণ করেন রাহুল গাঁধীকে। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাহুল যে সরকারের সমালোচনা করেছেন, তার জবাবে মোদী বলেন, ‘‘যিনি বলছেন, তাঁরই পরিচয় ধরা পড়ছে।’’ তিন তালাকের বিষয়ে রাজীব গাঁধীর ‘ভুলের’ থেকে শিক্ষা না নিয়ে ‘নীচ’ রাজনীতির অভিযোগও করেন মোদী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন