‘ভাই সুস্থ, বহাল তবিয়তেই আছেন’, দাবি শাকিলের

গুরুতর অসুস্থ দাউদ ইব্রাহিম! সকাল থেকেই এই খবরে তোলপাড় দিল্লি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে করাচির আগা খান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:২১
Share:

গুরুতর অসুস্থ দাউদ ইব্রাহিম! সকাল থেকেই এই খবরে তোলপাড় দিল্লি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে করাচির আগা খান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও দাউদের ডান হাত ছোটা শকিল করাচি থেকে দাবি করেছেন, ‘‘ভাই সুস্থ। বহাল তবিয়তেই আছেন।’’

Advertisement

ভারতের গোয়েন্দারাও বলছেন, দাউদ গুরুতর অসুস্থ, এমন খবর তাঁদের কাছেও নেই। তবে অতীতে হওয়া স্ট্রোক ও গ্যাংগ্রিনজনিত অসুস্থতার জন্য মাঝে মাঝেই পরীক্ষার করাতে হাসপাতালে যেতে হয় তাঁকে। গোয়েন্দাদের দাবি, দশ দিন আগেই করাচিতে বেয়াই জাভেদ মিঁয়াদাদের দেওয়া পার্টিতে ছিলেন দাউদ।

আরও পড়ুন: অস্থির সময়ে কবি চান সেতু বাঁধুক ভিন্ন মত

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের গোয়েন্দা সংস্থাই নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মাঝেমধ্যে দাউদ সংক্রান্ত খবর ছড়ায়। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই দাউদকে পাকিস্তানের কাছ থেকে ফেরত চাইছে। যদিও শুরু থেকেই ইসলামাবাদের দাবি, দাউদ সে দেশে নেই। দাউদকে ফেরানোর প্রশ্নে বাজপেয়ী জমানায় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। পারভেজ মুশারফের ভারত সফরের সময়েও তিনি দাউদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। আডবাণীর কথা শুনে ক্ষিপ্ত মুশারফ বলেছিলেন ‘‘দাউদ পাকিস্তানে নেই।’’ বৈঠক শেষে আডবাণী তৎকালীন গোয়েন্দা-প্রধানের কাছে দাউদের সর্বশেষ অবস্থান জানতে চাইলে দেখা যায়, মুশারফের ভারত সফরের আগেই দুবাই উড়ে গিয়েছেন দাউদ।

অনেকের অভিযোগ, পাকিস্তানের পাশাপাশি দাউদকে ফিরিয়ে না আনার প্রশ্নে এ দেশের নেতাদের ভূমিকাও কম নয়। নব্বইয়ের দশকে একাধিক নেতার টাকা দাউদের ব্যবসায়ে খাটার প্রমাণও রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে। আজ এত বছর পরেও, দাউদকে পাকিস্তানে রেখে দেওয়ার পক্ষে নেতাদের চাপ একই ভাবে রয়ে গিয়েছে বলেই মত স্বরাষ্ট্র কর্তাদের একাংশের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন