সোনম রঘুবংশী এবং রাজা রঘুবংশী। ছবি: সংগৃহীত।
রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে এখনও অনেক প্রশ্নই অধরা। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন অভিযুক্তেরা। রাজা-সোননের এই ঘটনাকে সাদামাঠা প্রেমকাহিনি এবং খুন বলে মনে করাটা ঠিক হবে না বলেই তদন্তকারীদের দাবি। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে গভীরতর কোনও রহস্য রয়েছে। যে রহস্য খুঁজে বার করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাই অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে অনেক প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারই ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ।
সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে চেরাপুঞ্জিতে। বৃষ্টিস্নাত পূর্ব খাসি হিলসের সোহরায় নিয়ে আসা হয় সোনম এবং বাকি অভিযুক্তদের। বুধবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃতদের আরও কয়েক দিন হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হতে পারে। মেঘালয় পুলিশের ডিজি ইদাশিশা নোংরাং সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, রাজার প্রতি এত বিদ্বেষ ছিল তাঁর স্ত্রী সোনমের? বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে খুনের পরিকল্পনা কেন, তা নিয়েও একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
ডিজির কথায়, ‘‘ শুধু প্রেমের জন্য খুন, এই দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনাটিকে দেখা ঠিক হবে না। এর গভীরে আরও কোনও কাহিনি আছে। যে কাহিনির উন্মোচন প্রয়োজন। আর সেটাই করছি আমরা। প্রেমের কারণে খুন, এটিকে মুখ্য কারণ হিসাবে মনে করা হলেও, শুধু এটিই একমাত্র কারণ নয়।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তেরা পরস্পরবিরোধী বয়ান দিচ্ছেন। তাই টুকরো টুকরো তথ্যগুলিকে একত্রিত করে ঘটনাটি সাজানোর চেষ্টা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মেঘালয়ে বেড়াতে গিয়ে গত ২১ জুন নিখোঁজ হয়ে যান রাজা এবং সোনম। গত ২ জুন রাজার দেহ উদ্ধার হয় সোহরায়। সোনম নিখোঁজ ছিলেন তার পরেও। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এটি নিখোঁজের কোনও ঘটনাই নয়। রাজাকে খুন করা হয়েছে। আর তাঁকে খুনে মূল অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রী সোনমই। গত ৯ জুন উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সোনমকে।