জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। — ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের কঠোরতম শাস্তির পক্ষে সওয়াল করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়িটির সঙ্গে উমর মহম্মদ ওরফে উমর-উন-নবি নামে এক কাশ্মীরি চিকিৎসকের নাম উঠে এসেছে। এ অবস্থায় সাধারণ কাশ্মীরিদের হয়ে সওয়াল করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সকলেই জঙ্গি নন। কাশ্মীরের প্রত্যেক বাসিন্দা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন না। শুধুমাত্র হাতেগোনা কিছু মানুষই সেখানে শান্তি এবং সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের’ কাজকর্মকে জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ শান্তিপ্রিয় বাসিন্দাদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া উচিত নয়। অপরাধী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ফারাক বোঝা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। দিল্লির বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই হামলার জন্য হাতেগোনা কয়েক জন দায়ী। যারা দোষী, তাদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া উচিত। কিন্তু নিরপরাধ মানুষদের যেন একই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা না-হয়।”
ওমরের কথায়, “প্রত্যেক কাশ্মীরিকে একই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হলে এবং প্রত্যেক কাশ্মীরিকেই জঙ্গি বলে ভেবে নেওয়ার চেষ্টা হলে, সেটা মস্ত ভুল হবে।” বস্তুত, গত সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে একটি হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণের পরে উঠে আসে কাশ্মীরি চিকিৎসক উমরের নাম। বিস্ফোরণের আগে ওই গাড়িটি তিনিই চালাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় উমরের বাড়িটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়।
লালকেল্লার কাছে একটি সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয় সোমবার। তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩। ওই দিনই সকালে ফরিদাবাদে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং হরিয়ানা পুলিশের যৌথ দল। ওই ঘটনার সঙ্গেও অপর এক কাশ্মীরি চিকিৎসকের যোগ পাওয়া গিয়েছিল। এরই মধ্যে, শুক্রবার এনআইএ-র এক তদন্তকারী দল যাচ্ছে শ্রীনগরে।