Bihar Assembly Election 2025

‘ভোটে যে-ই জিতুক সরকার গড়ে বিজেপি! বিহারে ওরা নতুন পদ্ধতি নিয়েছে’, কোন কৌশলের দিকে আঙুল তুললেন পিকে?

বিজেপির ভীতিপ্রদর্শনের মুখে বিরোধী প্রাথীরা যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার না-করেন সে জন্য নির্বাচন কমিশনের খাতে তাঁদের উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পিকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫৮
Share:

প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।

গত দু’দিনে তার দলের তিন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। সেই তালিকায় আরও কয়েক জন শামিল হতে চলেছেন বলে জল্পনা। এই পরিস্থতিতে বিহারের বিধানসভা ভোটে জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান প্রশান্ত কিশোর (পিকে নামেই যিনি পরিচিত) নিশানা করলেন বিজেপিকে।

Advertisement

প্রাক্তন ভোটকুশলী পিকে মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমাদের দলের প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করছে বিজেপি।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে, নির্বাচনে যে দলই জিতুক না কেন, সরকার গঠনের জন্য বিজেপি খ্যাতি অর্জন করেছে। এখন, তারা বিহারে একটি নতুন পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু করেছে।’’ পিকের অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে প্রার্থিপদ প্রত্যাহারই বিজেপির সেই ‘নতুন পদ্ধতি’। ভীতিপ্রদর্শনের মুখে বিরোধী প্রাথীরা যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার না-করেন সে জন্য নির্বাচন কমিশনের খাতে তাঁদের উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পিকে।

প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত দানাপুর, ব্রহ্মপুর এবং গোপালপঞ্জে পিকের দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আগামী ৬ নভেম্বর, প্রথম দফায় ভোট হতে যাওয়া ওই কেন্দ্রগুলিতে সোমবারই ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দ্বিতীয় দফার ভোট ১১ নভেম্বর। ওই ১২২টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। জল্পনা, পিকের দলের আরও কয়েক জন প্রার্থী ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়়াতে পারেন। ক্ষুব্ধ জন সুরাজ পার্টির চেয়ারম্যান মঙ্গলবার বলেন, ‘‘যাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন, তাঁরা কিংবা তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা ভয় অথবা প্রলোভনের শিকার।’’ গত এক দশক ধরে ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভোটজয়ের কৌশল স্থির করে দিয়েছেন প্রশান্ত। গত দু’বছর ধরে বিহারের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল তাঁর ‘জন সুরাজ’ উদ্যোগ। প্রান্তিক মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলি নিয়ে সরকারের উপর চাপ তৈরির উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছিল এই কর্মসূচি। ২০২২ সালে গান্ধীজয়ন্তীর দিন থেকে শুরু হয়েছিল জন সুরাজ পার্টি নামে রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ। দু’বছর পর সেই একই দিনে পটনায় রাজনৈতিক দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল জন সুরাজ পার্টি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement