সমান টাকা দিয়ে রেল প্রকল্পে সঙ্গী ঝাড়খণ্ড

দেশের জীবনরেখা যে-রেললাইন, তার বিভিন্ন কাজে অংশীদারির ভিত্তিতে প্রতিটি রাজ্যকে সঙ্গে চায় কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ এ-পর্যন্ত তাতে সাড়া না-দিলেও অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে পড়শি ঝাড়খণ্ড।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৭ ০৪:২২
Share:

দেশের জীবনরেখা যে-রেললাইন, তার বিভিন্ন কাজে অংশীদারির ভিত্তিতে প্রতিটি রাজ্যকে সঙ্গে চায় কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ এ-পর্যন্ত তাতে সাড়া না-দিলেও অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে পড়শি ঝাড়খণ্ড। ওই রাজ্য এবং রেলের যৌথ অংশীদারিতে রাঁচী থেকে টোরি পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন পাতার কাজ শেষ করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৬৮২ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৩২৮ কোটি টাকা দিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার।

Advertisement

রেলের ভাঁড়ার তলানিতে। তাই নতুন লাইন পাতার প্রতিটি প্রকল্প এখন সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সঙ্গে দায়িত্ব ভাগাভাগির ভিত্তিতে রূপায়ণ করতে চাইছে রেল মন্ত্রক। তারা এই ব্যাপারে প্রতিটি রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে রেলের বিভিন্ন প্রকল্পে যোগ দিতে আমন্ত্রণও জানিয়েছে অনেক বার। ইতিমধ্যে সাত-আটটি রাজ্য তাতে রাজিও হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের এই নতুন লাইন সেই যৌথ উদ্যোগের ফল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এখনও কেন্দ্রের ওই প্রস্তাবে সম্মতি জানায়নি। ফলে এই রাজ্যে কিছু প্রকল্প আটকে আছে।

রেলের খবর, ঝাড়খণ্ডে ওই নতুন লাইন পাতার ফলে আদিবাসী অধ্যুষিত ওই বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। মূলত ওই এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্যই রেলের প্রস্তাবে ঝাড়খণ্ড সরকার এত টাকা খরচ করেছে বলে জানান রাজ্যের আধিকারিকেরা।

Advertisement

রেলকর্তারা জানান, রাঁচী থেকে লোহারডাগা পর্যন্ত ন্যারোগেজ লাইন ছিল। সেটিকে প্রথমে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তরিত করা হয়। পরে সেটিকেই বাড়িয়ে আরও সাড়ে ২৯ কিলোমিটার এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় টোরি পর্যন্ত। নতুন এই লাইন তৈরির ফলে রাঁচী থেকে দিল্লির দূরত্ব প্রায় ১১৫ কিলোমিটার কমে গেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement