আর্থিক টানাটানি চলছে অনেক দিন ধরেই। অবশেষে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সরকার বিদ্যুতের বকেয়া বিল মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় খানিকটা স্বস্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থা ডিভিসি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এ বছর জানুয়ারি থেকে ঝাড়খণ্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যা বিল হবে, তা-ও নগদে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে ওই রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই বিল বাবদ জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে ১৭০-১৮০ কোটি টাকা পাবে ডিভিসি। ফলে তাদের কোষাগারে নগদ অর্থের ঘাটতি খানিকটা হলেও মিটতে চলেছে।
২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ঝাড়খণ্ডের কাছে ডিভিসি-র বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে বকেয়া প্রায় ৩৯০০ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা অনাদায়ি থাকায় সব দিক থেকেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ডিভিসি-কে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জন্য কয়লা কিনতে গিয়েও সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় কোল ইন্ডিয়ার টাকা মেটাতে চাপে পড়ে যেতে হচ্ছে। নগদে টান পড়ছে নতুন বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রেও। ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গে বারবার আলোচনায় বসেও সমাধানসূত্র না-মেলায় ডিভিসি-কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়। কেন্দ্রেও বিজেপি সরকার এবং সেই সূত্রেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকের দাবি।
ডিভিসি-র সদর দফতরের এক কর্তা জানান, ঝাড়খণ্ড সরকারের কাছে তাঁদের বেশ কয়েক বছরের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকও বিষয়টি জানত। সেই সমস্যাই আপাতত মিটতে চলেছে। ওই কর্তার দাবি, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের ফলে বকেয়া বিল ধাপে ধাপে কী ভাবে মিটিয়ে দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে ঝাড়খণ্ড সরকার তাদের পরিকল্পনা খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেবে। নতুন বিল যা হবে, তা নগদে দিয়ে দেওয়ায় আর কোনও বিল বকেয়া পড়বে না।
ঝাড়খণ্ডে সারা বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ডিভিসি। আর সেই বিদ্যুতের বিল প্রায়ই বকেয়া থাকে। যা নিয়ে ডিভিসিকে ভুগতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। ২০১৫-র আগেও কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে বিল বাবদ বকেয়া কয়েক হাজার কোটি টাকা সুদে-আসলে মিটিয়ে দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড সরকার। ফের সেই পথেই সমস্যা মিটতে চলেছে।