National News

‘সালো কো তোড় দো’, ঘুস কর মারে’, ছড়াচ্ছে মেসেজের স্ক্রিনশট, কাঠগড়ায় এবিভিপি

কোন দিক দিয়ে ঢুকতে হবে, কোন দিকে নিরাপত্তার কড়াকড়ি নেই, সেই সব মেসেজও করা হয়েছে ওই সব গ্রুপে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:৪৪
Share:

এই সব স্ক্রিন শটই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবি: টুইটার থেকে

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যলয় (জেএনইউ)-এ হামলার ছক কষা হয়েছিল হোয়াটস্‌অ্যাপে। একাধিক হোয়াটস্অ্যা‌প গ্রুপে এ রকম অনেকগুলি মেসেজের স্ক্রিন শট বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। শুধু তাই নয়, তাণ্ডবের পরেও একাধিক গ্রুপে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে হামলা চালানোর কথা।

Advertisement

‘ইউনিটি এগেইনস্ট লেফ্ট’, ‘লেফ্ট টেরর ডাউন ডাউন’, ‘ফ্রেন্ডস অব আরএসএস’, ‘জেএনইউনাইটস ফর মোদী’— এই রকম নামের একাধিক গ্রুপে এমন সব মেসেজ পোস্ট করা হয়েছে, যাতে হামলার আগের পরিকল্পনা এবং হামলার পরের ‘উল্লাস’ প্রকাশ করা হয়েছে। এই গ্রুপগুলির নাম এবং একাধিক সদস্যের পরিচয় জানার পর স্বাভাবিক ভাবেই অভিযোগের তির আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপির দিকে গিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ওই গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁদের সিংহ ভাগই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। কেউ বলছেন, তাঁর নম্বর অন্য কেউ ব্যবহার করেছে। আবার এবিভিপির সদস্য বলে স্বীকার করে নিয়েও কেউ বলেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন, দিল্লির বাইরে রয়েছেন তিনি।

হামলার আগে কেউ লিখেছেন, ‘তোড় দো সালো কো’। ‘সালো কো হস্টেল মে ঘুস কর তোড়ে’, ‘মজা আ গ্যয়া, ইন সালো কো দেশদ্রোহীও কো মারকে’, ‘বিলকুল, এক বার ঠিক সে আর পার করনে কি জরুরত হ্যায়, অভি নেহি মারেঙ্গে সালো কো, তো কব মারেঙ্গে... (বাকি অংশ অশালীন)— এই রকম বহু মেসেজ ওই সব গ্রুপে লিখেছেন সদস্যরা। পরে সেগুলির স্ক্রিন শট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অনেকে।

Advertisement

তার পর থেকেই কাঠগড়ায় এবিভিপি। মেসেজের সূত্র ধরে সেই নম্বরে যোগাযোগ করা হয়েছিল সংবাদমাধ্যমের তরফে। তিন জন বলেছেন, তাঁদের নম্বর অন্য কেউ অসৎ উদ্দেশে ব্যবহার করেছে। দু’জনের দাবি, তাঁরা নয়, তাঁদের মোবাইল থেকে ‘বন্ধুরা ওই মেসেজ পোস্ট করে দিয়েছে’।

‘বিলকুল, এক বার ঠিক...’ — এই মেসেজ যিনি করেছেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি জেএনইউ-এর ছাত্র। স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর উপর গবেষণা করছি। আমি এবিভিপির সদস্য। সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।’’ কিন্তু কিছু ক্ষণ পরে তিনি আবার বলেন, ‘‘আমি জেএনইউ-এর পড়ুয়া হলেও ওই মেসেজ আমি করিনি। কেউ আমার নম্বর ব্যবহার করে ওই মেসেজ করতে পারে।’’

এ ছাড়াও কোন দিক দিয়ে ঢুকতে হবে, কোন দিকে নিরাপত্তার কড়াকড়ি নেই, সেই সব মেসেজও করা হয়েছে ওই সব গ্রুপে। তবে ওই সব স্ক্রিনশটের সত্যতা আনন্দবাজারের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন