Justice S Muralidhar

দিল্লি হিংসাপর্বে পরিচিতি পান ‘রক্ষাকর্তা’ নামে, ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে মানধিকার লঙ্ঘনের তদন্তে এ বার সেই বিচারপতি

দীর্ঘ ১৪ বছর দিল্লি হাই কোর্টে থাকাকালীন বিচারপতি মুরলীধর যে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলির রায় দিয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম, চুরাশির শিখবিরোধী দাঙ্গা এবং সমকামিতাকে ফৌজদারি অপরাধের তকমা থেকে মুক্ত করা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৩
Share:

অবসপ্রাপ্ত বিচারপতি এস মুরলীধর। —ফাইল চিত্র।

গাজ়া ভূখণ্ডে প্যালেস্টাইনি নাগরিকদের উপর ইজ়রায়েলি সেনার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব নিলেন অবসপ্রাপ্ত বিচারপতি এস মুরলীধর। ওড়িশা হাইকোর্ট এবং পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দীর্ঘ ১৪ বছর দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে কাজ করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। রাষ্ট্রপুঞ্জ ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের যে কমিটি গঠন করেছে, তাঁর অন্যতম সদস্য ৬৪ বছরের বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) মুরলীধর।

Advertisement

১৯৮৪ সালে সেপ্টেম্বরে চেন্নাইয়ে প্রথম আইনজীবী হিসাবে প্র্যাকটিস শুরু করেছিলেন মুরলীধর। সেখান থেকে ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যান। দিল্লি হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন। পরিচিতি পেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং নর্মদা বাঁধ তৈরির জন্য ঘরহারা মানুষদের জন্য লড়াই করে। এর পরে তিনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরামর্শদাতা নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে ল’কমিশন-এর ‘আংশিক সময়ের সদস্য’ হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। ২০০৬ সালের মে মাসে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন মুরলীধর।

২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত দীর্ঘ ১৪ বছর দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন দক্ষতার সঙ্গে নানা গুরুত্বপূর্ণ মামলা সামলেছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৮৪-র শিখবিরোধী দাঙ্গা মামলা। সমকামিতাকে ফৌজদারি অপরাধের তকমা থেকে মুক্ত করার রায়ও বিচারপতি মুরলীধরই দিয়েছিলেন। ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দিল্লিতে হিংসাপর্বের সময় তৎপরতার নতুন নজির দেখিয়েছিলেন বিচারপতি মুরলীধর। দিল্লির মুস্তাফাবাদে গোষ্ঠীসংঘর্ষে বহু আহত স্থানীয় ছোট্ট হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পুলিশের থেকে কোনও সাহায্য না-পেয়ে গভীর রাতে বিচারপতি মুরলীধরের বাড়িতে যান চিকিৎসক ও মানবাধিকার কর্মীরা। রাতেই তাঁদের আর্জি শুনতে রাজি হয়েছিলেন বিচারপতি। এর পরেই ‘দিল্লির রক্ষাকর্তা’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। বস্তুত, দিল্লির আমজনতা এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিচারপতি মুরলীধর এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন যে, তাঁর বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি উঠেছিল প্রকাশ্যে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement