Karnataka Gangrape

জামিন পেয়েই ডিজে বাজিয়ে, গাড়ি-বাইক নিয়ে শোভাযাত্রা! কর্নাটকে চার ‘গণধর্ষককে’ আবার জেলে ভরল পুলিশ, পলাতক তিন

সাত অভিযুক্ত জেলের বাইরে পা রাখতেই তাঁদের প্রথমে মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তার পর গাড়ি, বাইকের কনভয় এবং তারস্বরে ডিজে বক্স বাজিয়ে শোভাযাত্রা করে ওই সাত জনকে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৫ ১১:২৫
Share:

জামিন পাওয়ার পর ‘বিজয়োল্লাস’ ধর্ষণে অভিযুক্তদের। ছবি: সংগৃহীত।

জামিন পেয়ে ‘বিজয়োল্লাসে’ মেতেছিলেন ওঁরা। কিন্তু সেই উল্লাস, উচ্ছ্বাস বেশি ক্ষণ স্থায়ী হল না। জামিনের শর্তভঙ্গের অভিযোগে সাত জনের মধ্যে চার ‘ধর্ষককে’ আবার গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হল। বাকি তিন জন পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

ধর্ষণে অভিযুক্ত সাত যুবককে মঙ্গলবার জামিন দিয়েছিল কর্নাটকের হাভেরির নিম্ন আদালত। তাঁদের সঙ্গী-সাথীরা আগে থেকেই হাভেরি জেলের সামনে গাড়ি এবং বাইকের কনভয়, ডিজে বক্স নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। সাত অভিযুক্ত জেলের বাইরে পা রাখতেই তাঁদের প্রথমে মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তার পর গাড়ি, বাইকের কনভয় এবং তারস্বরে ডিজে বক্স বাজিয়ে শোভাযাত্রা করে ওই সাত জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। হাভেরি জেল থেকে হাঙ্গাল তালুক পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রাস্তা শোভাযাত্রা করে যান ধর্ষণে অভিযুক্ত সাত জন এবং তাঁদের সঙ্গীরা।

সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। প্রশ্ন উঠছে আইনের শাসন নিয়েও। পুলিশের কাছে ভিডিয়োটি পৌঁছোয়। হাভেরির পুলিশ সুপার ভিডিয়োটি খতিয়ে দেখার পর ধর্ষণে অভিযুক্ত সাত জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক আদালতের কাছে ওই সাত অভিযুক্তের জামিন খারিজের আবেদন জানান। আদালতের নির্দেশ পেয়েই সাত জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তিন জন পলাতক।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হাভেরির একটি হোটেলে ঢুকে এক যুগলের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ওই সাত জনের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, হোটেল থেকে তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরই সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই সাত যুবককে। হাভেরির নিম্ন আদালতে মামলাটি চলছে। মঙ্গলবার তাঁদের জামিন হয়। আর তার পরই তাঁদের মহাসমারোহে জেল থেকে তাঁদের নিয়ে যান সঙ্গীরা। এই ঘটনা ঘিরে হুলস্থুল পড়ে যায়। শুরু হয় বিতর্কও। তার পরই পুলিশ আদালতের দ্বারস্থ হয়। জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে আবার গ্রেফতার করা হয় ‘গণধর্ষকদের’।

পুলিশ সূত্রে খবর, গণধর্ষণ এবং হামলার অভিযোগে মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ছিলেন সাত জন। ১০ মাস আগে ১২ জনের জামিন হয়। বাকি সাত মূল অভিযুক্তকে মঙ্গলবার জামিন দেয় আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement