Karnataka RSS Ban

আরএসএস-এর কার্যকলাপে বাধা নেই! জমায়েত নিয়ে সিদ্দারামাইয়া সরকারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের

সম্প্রতি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের পুত্র তথা কর্নাটকের মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খড়্গে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে চিঠি পাঠান। তাঁর অভিযোগ ছিল, সরকারি স্কুলের প্রাঙ্গণে কিংবা খেলার মাঠে আরএসএস-এর কার্যকলাপ রাজ্যের শিশু-কিশোরদের প্রভাবিত করছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:০৫
Share:

মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কর্নাটক হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

দিন কয়েক আগেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) কার্যকলাপে রাশ টানতে চেয়ে প্রকাশ্য স্থানে জমায়েতের উপর বিধিনিষেধ চাপিয়েছিল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। জানানো হয়েছিল, জনসমক্ষে কিংবা সরকারি জমিতে ১০ জনের বেশি লোকের জমায়েতের জন্য পূর্ব অনুমতি লাগবে। এ বার সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কর্নাটক হাই কোর্ট, যাকে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য এক বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

মঙ্গলবার সরকারি নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে কর্নাটক হাই কোর্ট। ১৮ অক্টোবরের ওই সরকারি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সম্প্রতি আদালতে আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার সিদ্দারামাইয়া সরকারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি। জানানো হয়েছে, এখনই প্রকাশ্য স্থানে জমায়েতের উপর কড়াকড়ি শুরু হচ্ছে না।

সম্প্রতি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের পুত্র তথা কর্নাটকের মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খড়্গে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে চিঠি পাঠান। তাঁর অভিযোগ ছিল, সরকারি স্কুলের প্রাঙ্গণে কিংবা খেলার মাঠে আরএসএস-এর কার্যকলাপ রাজ্যের শিশু-কিশোরদের প্রভাবিত করছে। এতে এক দিকে যেমন তাদের মনে বিভেদমূলক ধারণা ছড়াচ্ছে, সেই সঙ্গে সঙ্ঘের অসাংবিধানিক কার্যকলাপও প্রশ্রয় পাচ্ছে। এ নিয়ে বিতর্কের মাঝে গত ১৬ অক্টোবর কর্নাটকের মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয়, এখন থেকে সরকারি সম্পত্তি বা প্রাঙ্গণ ব্যবহার করার জন্য পূর্ব অনুমতি বাধ্যতামূলক।

Advertisement

সরকারি আদেশে আরএসএস-এর নাম নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ না-করা থাকলেও বিজেপি অভিযোগ তোলে, দক্ষিণপন্থী ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস-এর কার্যকলাপকে প্রভাবিত করতেই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, বিধিনিষেধের সপক্ষে কর্নাটকে বিজেপি আমলের ১২ বছরের পুরনো একটি নির্দেশিকাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে কংগ্রেস। ২০১৩ সালের ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, খেলার মাঠ কিংবা স্কুলপ্রাঙ্গণ কেবলমাত্র শিক্ষামূলক কাজেই ব্যবহার করা যাবে। এর পরেই এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement