Online Gaming Bill

টাকার বিনিময়ে অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করার বিলের বিরুদ্ধে মামলা, কেন্দ্রের জবাব চাইল কর্নাটক হাই কোর্ট

আদালত বিলটি বিবেচনা করে না-দেখা পর্যন্ত যাতে সেটি আইনে পরিণত না-হয়, সেই আর্জি জানায় মামলাকারী সংস্থা। যদিও কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য, রাষ্ট্রপতির সম্মতি মিলে গেলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা একটি সাংবিধানিক কাজ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৫ ১৪:৩৬
Share:

অনলাইন গেমিং বিলের বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চাইল কর্নাটক হাই কোর্ট। —প্রতীকী চিত্র।

অনলাইন গেম নিয়ন্ত্রণের বিল প্রসঙ্গে এ বার কেন্দ্রের ব্যাখ্যা তলব করল আদালত। সংসদের বাদল অধিবেশনে উভয় কক্ষেই পাশ হয়েছে ‘দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’। এই বিলের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে খেলা অনলাইন গেমগুলিকে নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রের ওই বিলের বিরোধিতায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে কর্নাটক হাই কোর্টে। শনিবার ওই মামলায় কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চাইল হাই কোর্ট।

Advertisement

কেন্দ্রের এই বিলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে অনলাইন গেমিং সংস্থা ‘হেড ডিজিটাল ওয়ার্ক্‌স প্রাইভেট লিমিটেড’। এই সংস্থার তৈরি অর্থের বিনিময়ে অনলাইন ‘রামি’ (এক ধরনের তাসের খেলা)-ও বিপাকে পড়েছে নতুন বিলের জেরে। মামলাকারী সংস্থার আইনজীবীদের বক্তব্য, বিলের নামকরণে অনলাইন গেমের ‘প্রোমোশন’ (প্রচার)-এর কথা উল্লেখ থাকলেও, এটি আসলে গেমগুলিকে নিষিদ্ধ করার জন্য তৈরি হয়েছে। হাই কোর্ট যাতে এই বিলের বিষয়ে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয়, সেই আর্জিও জানান মামলাকারী পক্ষের আইনজীবীরা। আদালত বিষয়টি বিবেচনা করে না-দেখা পর্যন্ত যাতে বিলটি আইনে পরিণত না-হয়, সেই আবেদনও জানান তাঁরা।

কেন্দ্রের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এন বেঙ্কটরমণ। সলিসিটর জেনারেল জানান, অর্থের বিনিময়ে গেমিং নিয়ে সংসদের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে কি না, তা এই প্রথম বার কোনও আদালত যাচাই করবে। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতির সম্মতি মিলে গেলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা একটি সাংবিধানিক কাজ। বিচারবিভাগ পরীক্ষা না করে এতে বাধা দিতে পারে না।” আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে খুব তাড়াতাড়ি এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয় মেহতার কাছে। এর উত্তরে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও মন্তব্য না করলেও সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেননি তিনি।

Advertisement

দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে এই বিলের বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। বিলের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে কি না, তা ওই দিন বিবেচনা করে দেখবে হাই কোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement