(বাঁ দিকে) কর্নাটকের জেডি(এস) নেতা এসএল ভোজেগৌড়া এবং পথকুকুর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
তাঁর তত্ত্বাবধানে দু’হাজারেরও বেশি কুকুর হত্যা করা হয়েছে। এমনটাই দাবি করলেন কর্নাটকের জেডি(এস) নেতা এসএল ভোজেগৌড়া। তিনি কর্নাটক বিধান পরিষদের সদস্য। অতীতে কর্নাটকের চিকমাগালুর শহরের পুরপ্রধান ছিলেন তিনি। জে়ডি(এস) নেতার দাবি, তিনি পুরপ্রধান থাককালীন দু’হাজারেরও বেশি কুকুরকে মেরে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার পথকুকুর প্রসঙ্গে বিধান পরিষদে বক্তৃতার সময় ভোজেগৌড়া বলেন, “আমি যখন পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম, তখন আমরা ২৫০০ কুকুর মেরে গাছতলায় পুঁতে দিয়েছি, যাতে সেগুলি থেকে প্রাকৃতিক সার তৈরি হয়।” বস্তুত, ভোজেগৌড়া দীর্ঘদিন ধরে বিধান পরিষদের সদস্য। তিনি কোন সময়ের কথা বলতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।
সংবাদমাধ্যম ‘এন়ডিটিভি’ অনুসারে, জেডিএস নেতা দাবি, তাঁরা ‘মাংসের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে’ খাইয়ে দিয়েছিলেন কুকুরদের। তিনি এ-ও বলেন, “যদি আমাদের সন্তানদের জন্য আমাকে জেলে যেতে হয়, আমি তাতেও রাজি।” বিধান পরিষদে আলোচনার সময় তিনি এ-ও বলেন, “পশুদের নিয়ে আমাদেরও উদ্বেগ আছে। তবে পশুপ্রেমীরা আরও একটি সমস্যা। আমরা প্রতিদিন কুকুরের কামড়ের ঘটনা দেখছি। আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে। যদি কেউ রাস্তা থেকে পথকুকুরদের সরানোর বিরোধিতা করেন, তা হলে সরকারের উচিত তাঁদের বাড়ির প্রাঙ্গণে কয়েকটি কুকুর রেখে আসা। যাতে তাঁরা বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে পারেন। তাঁদের বাড়ির সন্তানদের পথকুকুর কামড়ালে তাঁরা কী করবেন?”
বস্তুত, দিল্লিতে পথকুকুরের কামড়ের ফলে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপও করে আদালত। সম্প্রতি পথকুকুর সংক্রান্ত ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজধানী দিল্লির লোকালয় থেকে পথকুকুরদের সরানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পথকুকুরদের জন্য নির্দিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করতেও বলেছে আদালত। তবে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বিআর গবই বুধবার জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।