কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।- ফাইল চিত্র।
রাজ্যের জন্য আলাদা পতাকা তৈরির প্রস্তুতি শুরু করল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। নতুন রাজ্য-পতাকার নকশা তৈরির জন্য নয় সদস্যের একটি কমিটিও তৈরি করেছে সিদ্দারামাইয়া প্রশাসন। এই নতুন নকশা আইনি ভাবে কতটা বৈধ সে বিষয়টি নিয়েও রিপোর্ট পেশ করবে এই কমিটি। ২০১৮ সালে কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক ভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সিদ্দারামাইয়া সরকারের এই পদক্ষেপ আদতে কন্নড় ভোটব্যাঙ্ককে কাছে পাওয়ার এক চেষ্টা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বর্তমানে একমাত্র জম্মু-কাশ্মীরের জন্য আলাদা পতাকা রয়েছে। সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুসারেই জম্মু-কাশ্মীর এই আলাদা পতাকা তৈরি করতে পেরেছে। সে ক্ষেত্রে কর্নাটক যদি আইনি ভাবে পৃথক পতাকা তৈরির অনুমতি পায়, তা হলে তারা হবে দেশের দ্বিতীয় রাজ্য।
কর্নাটক সরকারের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়ার বক্তব্য, ভারত এক জাতি, এক দেশ, এখানে দু’টি আলাদা পতাকা থাকতে পারে না।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা মায়াবতীর, দলিত ইস্যুতে তীব্র ঝড় তোলার ইঙ্গিত
এরই পাশাপাশি, কোনও রাজ্যের আলাদা পতাকা থাকতে পারে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ১৯৯৪ সালে বোম্মাই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের একটি মন্তব্য তুলে ধরা হচ্ছে। সেই সময় শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, রাজ্য সরকার আলাদা পতাকা তৈরি করতে পারে, এমন কথা সংবিধানে কোথাও বলা নেই। তবে রাজ্য সরকার নিজস্ব গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে থেকে আলাদা পতাকা তৈরি করতে পারে। কিন্তু, তা কখনওই জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করে নয়। এবং সেই পতাকা সব সময়েই জাতীয় পতাকার নীচে থাকবে।